ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাভাইরাস মারার কৌশল জানাল সিঙ্গাপুর

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ৭ মার্চ ২০২০

 করোনাভাইরাস মারার  কৌশল জানাল  সিঙ্গাপুর

করোনাভাইরাস মেরে ফেলার কৌশল আবিষ্কারের কথা জানিয়ে সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক বলছেন, জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করলে ভাইরাসটি মরে যায়। তাদের দাবি, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শোবার ঘর ও বাথরুম প্রচ- দূষিত থাকে। তাই কোন জিনিস বা বস্তুর পৃষ্ঠতল, মেঝে, বেসিন ও টয়লেট-কমোড জীবাণুনাশক দিয়ে বারবার পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এতে ওই ভাইরাস মরে যায়। ওয়েবসাইট। সিঙ্গাপুরের সেই গবেষণাপত্রটি আমেরিকান মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত হয়েছে। চীনের হাসপাতালে ব্যাপক আকারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরে এ গবেষণা তথ্য উঠে আসে। গবেষণা দলটির প্রধান গবেষকের মতে, কাশি ছাড়াও পরিবেশ দূষণ এই রোগ ছড়ানোর একটি বড় কারণ। তবে তার বিস্তৃতি কতটা, তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ এবং ডিএসও ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজের গবেষকরা তিনজন রোগীকে বিশেষভাবে নজরদারির মধ্যে রেখেছিলেন। যারা আইসোলেশনে ছিলেন গত জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু পর্যন্ত। গবেষকরা সেই রোগীদের ঘর থেকে দুই সপ্তাহ ধরে নমুনা সংগ্রহ করেন। একজন রোগীর ঘরের নমুনা নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার আগেই নেয়া হয়। আর অন্য দুই রোগীর ঘরের নমুনা জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থার পর সংগ্রহ করা হয়। দেখা যায়, যে রোগীর ঘরে পরিষ্কার করার আগেই নমুনা নেয়া হয়েছিল, তার শরীরে কম পরিমাণে জীবাণু ছিল। তবে তিনি শুধু কাশিতে ভুগছিলেন। অন্য দুইজনের মাঝারি লক্ষণ ছিল। তারা কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন। একজনের আবার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অন্যজনের কাশির সঙ্গে মিউকাস আসছিল। এই ধরনের অসমতা থাকার পরেও, যে রোগীর পরিষ্কার করার আগেই নমুনা নেয়া হয়েছিল, তার ঘরের ১৫টি অংশের ১৩টিই যেমন চেয়ার, বিছানার ধার, কাচের জানালা, মেঝে, বিদ্যুতের সুইচ দূষিত ছিল। টয়লেটের পাঁচটি অংশের তিনটি দূষিত ছিল। তার মধ্যে সিংক, দরজার হাতল, কমোড ছিল সবচেয়ে বেশি দূষিত। ওই ঘরের বাতাসে দূষণ পাওয়া না গেলেও বায়ু নিষ্কাশন অংশে কিছুটা দূষণ পাওয়া যায়। যেটা অন্য দু’জনের ঘরে ছিল না।
×