স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধি টিকফার উদ্দেশ্য হলেও এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারী খাত পঞ্চম টিকফা সভার অগ্রগতির বিষয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘ট্রেড এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এ্যাগ্রিমেন্টের’ (টিকফা) আওতায় গঠিত টিকফা ফোরামের পঞ্চম বৈঠকে সচিব এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টোফার উইলসন। এর আগে গত চারটি টিকফা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হলেও এবার করা হয়নি। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দিন স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ট্রেড এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরামের সভায় আগত মার্কিন প্রতিনিধিদলকে মার্চ ও মুজিববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধি টিকফার উদ্দেশ্য হলেও এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশের বেসরকারী খাত পঞ্চম টিকফা সভার অগ্রগতির বিষয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ সভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সভায় মন্তব্য করা হয়।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টিকফা বৈঠকে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশী পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার হ্রাস, জিএসপি সুবিধা পুনঃপ্রবর্তন, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন সচিব। সভায় বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হয়। সচিব তার বক্তব্যের শুরুতে উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে টিকফার পঞ্চম সভার মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ভবিষ্যতে অধিকতর সমৃদ্ধ হবে মর্মে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম রফতানি বাজার এবং অন্যতম বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগী। তিনি বাংলাদেশে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন।
