ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ার্টার ফাইনালে লিচেস্টার-ম্যানসিটি

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ৬ মার্চ ২০২০

  কোয়ার্টার ফাইনালে লিচেস্টার-ম্যানসিটি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দাপট এবার ধরে রাখতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, ইংলিশ লীগ কাপ কিংবা এফএ কাপে নিজেদের পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে পেপ গার্ডিওলার দল। বুধবার সিটিজেনরা ১-০ গোলে শেফিল্ড ওয়েডনেসডেকে হারিয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সার্জিও এ্যাগুয়েরো। ম্যানচেস্টার সিটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের একমাত্র গোলেই যে পঞ্চম রাউন্ডের বাধা অতিক্রম করে পেপ গার্ডিওলার দল। ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়াও এদিন এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে লিচেস্টার সিটি এবং নরউইচ সিটি। সিটিজেনদের মতো লিচেস্টার সিটিও একই ব্যবধানে এদিন পরাজিত করে বার্মিংহ্যামকে। অন্যদিকে নরউই৬েচর কাছে পেনাল্টিতে হেরে এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে জোশে মরিনহোর শক্তিশালী দল টটেনহ্যাম হটস্পার। বুধবার শেফিল্ডের মাঠে আতিথ্য পায় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে সার্জিও এ্যাগুয়েরোর গোলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয় নিশ্চিত হয়। আর্জেন্টাইন তারকার লো স্ট্রাইক আটকাতে পারেননি ওয়েডনেসডের গোলরক্ষক জো ওয়াইল্ডমিথ। শেফিল্ড ওয়েডনেসডে চ্যাম্পিয়নশিপ দল। তারপরও তাদের বিপক্ষে শক্তিশালী একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন পেপ গার্ডিওলা। ম্যাচে মাত্র এক গোল হলেও সিটিজেনরা পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে। প্রথমার্ধে রিয়াদ মাহারেজ আর গাব্রিয়েল জেসুস গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে জয়ের ব্যবধানটা আরও বাড়তো। নিকোলাস ওটামেন্ডি আর বেঞ্জামিন মেন্ডির শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। তবে শেষ পর্যন্ত ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সার্জিও এ্যাগুয়েরো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু এবার আর শিরোপা ধরে রাখতে পারছেন না গার্ডিওলার শিষ্যরা। বরং তাদের হটিয়ে দীর্ঘ সময় পর প্রিমিয়ার লীগের শিরোপার জয়ের স্বাদ পেতে চলেছে লিভারপুল। তবে লীগ শিরোপা হারানোর পথে থাকলেও অন্যান্য টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলছে পেপ গার্ডিওলার দল। গত সপ্তাহেই টানা তৃতীয়বারের মতো লীগ কাপ ঘরে তুলেছে সিটিজেনরা। শুধু তাই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদকেও ২-১ গোলে পরাজিত করেছে তারা। নিজেদের মাঠে রিয়ালকে হারিয়ে আসার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। যে কারণে এখনও বলা যায়, ট্রেবল জয়ের পথে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে গার্ডিওলার শিষ্যরা। জয়ের ব্যাপারে গার্ডিওলার নিরঙ্কুশ দাবি সম্পর্কে এ্যাগুয়েরো বলেন, ‘এ ব্যাপারে তার কাছে কোন ছাড় নেই। সে একজন দারুণ কোচ। যিনি জয়ের বিষয়ে সবসময়ই পাগল।’ দিনের আরেক ম্যাচে এদিন টটেনহ্যাম হটস্পারকে পরাজিত করে ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নরউইচ সিটি। টটেনহ্যামের মাঠে নির্ধারিত সময়ের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। এরপর ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শ্যূট আউটে ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নরউইচ। এই নিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ চারটি ম্যাচের সবকটিতেই পরাজয়ের স্বাদ পেল জোশে মরিনহোর শিষ্যরা। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ইয়ান ভারটনগেন টটেনহ্যামকে প্রথম এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মৌসুমে প্রথমবারের মতো ৩৬ বছর বয়সী অভিজ্ঞ গোলরক্ষক মাইকেল ভর্মকে মূল একাদশে নামানোর জোশে মরিনহোর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা পুরো ম্যাচেই অনুভূত হয়েছে। ৭৮ মিনিটে এই ডাচম্যানের ভুলেই জোসিপ ড্রিমিচ সমতায় ফেরান ম্যাচে। অতিরিক্ত সময়ে উভয়দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কাক্সিক্ষত গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। টটেনহ্যামের হয়ে প্রথম গোল করেন এরিক ডায়ার। এরপর নরউইচের গোলরক্ষক টিম ক্রুল ট্রয় প্যারট ও গেডসন ফার্নান্দেজের বল রুখে দেবার পর এরিক লামেলার শট বারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে গেলেই টটেনহ্যামের পরাজয় নিশ্চিত হয়। এই পরাজয়ের পর মরিনহো আরও একবার হ্যারি কেন, সন হেয়াং-মিনের মতো তারকাদের অনুপস্থিতিকেই দায়ী করেছেন। মরিনহো বলেন, কোন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে আমার বিন্দুমাত্র নেতিবাচক কোন অনুভূতি নেই। ফুটবলের খারাপ সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেবার অভিজ্ঞতা আমার আছে। তবে খেলোয়াড়দের জন্য আমার খারাপ লাগছে। আরেক ম্যাচে বার্মিংহ্যামকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শেষ আট নিশ্চিত করেছে লিচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের ৮২ মিনিটে রিকার্ডো পেরেইরার করা একমাত্র গোলেই জয় নিশ্চিত হয় লিচেস্টার সিটির।
×