বাংলাদেশ গেমস শুরু ১ এপ্রিল থেকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস অনুষ্ঠিত হবে ১-১০ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০টি ভেন্যুতে হবে ৩১ ডিসিপ্লিনের খেলা। বৃহস্পতিবার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে উন্মোচিত হলো নবম বাংলাদেশ গেমসের লোগো ও মাসকট। লোগোতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাস্যোজ্জ্বল ছবি রয়েছে। যা দিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী বঙ্গবন্ধুকে বোঝানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনের নারী ও পুরুষের সমতা বোঝাতে লোগোতে পুরুষ ও নারীর অংশগ্রহণ দেখানো হয়েছে। মাসকটে শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রাকে মশাল হাতে দেখা গেছে। এ সময় বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব ও অর্গানাইজিং কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিওএ’র উপ-মহাসচিব ও স্টিয়ারিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান কোহিনুর, উপ-মহাসচিব ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু এবং মিডিয়া ও পাবলিসিটি কমিটির চেয়ারম্যান ও বিওএ’র সহসভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘এই গেমসটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা গেমসের নামকরণ করেছি বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস।’ এই গেমস থেকে আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াবিদ তুলে আনতে চান মহাসচিব, ‘আশাকরি বাংলাদেশ গেমস থেকে আমরা মেধাবী ক্রীড়াবিদ পাব। তারা আন্তর্জাতিক গেমসগুলোতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।’ ৩৯৬টি করে স্বর্ণ ও রুপা এবং ৫৪৬ ব্রোঞ্জসহ ১৩৩৮ পদকের জন্য ১০ হাজার ৬০০ এ্যাথলেট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এদের মধ্যে প্রায় ১২শ’ এ্যাথলেট ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত যুব বাংলাদেশ গেমসে অংশ নিয়েছিলেন। রেকর্ডজয়ী পদকধারীদের বিওএ বিশেষভাবে পুরস্কৃত করবে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস একটি আলোচ্য বিষয়। ক্রীড়াঙ্গনেও প্রভাব পড়েছে অনেক। করোনাভাইরাস এখনও বাংলাদেশে আসেনি। এ প্রসঙ্গে বিওএ সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘আমরা এখনও করোনামুক্ত। কোন কারণে যদি গেমস চলাকালীন সময় বাংলাদেশে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের মেডিক্যাল কমিটি ও বিওএ নির্বাহী কমিটি জরুরী ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।’ এ্যাথলেটিক্সকে মাদার অব অল ডিসিপ্লন বলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের এ্যাথলেটিক্সের মূল ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের এ্যাথলেটিক্স টার্ফ অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী। এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন তাদের সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ চট্টগ্রামে আয়োজন করেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ট্র্যাক প্রসঙ্গে বশির আহমেদ বলেন, ‘আমরা এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাম্প ইভেন্টগুলো বঙ্গবন্ধুতে এবং রানিং ইভেন্টগুলো বিকেএসপিতে করার পরামর্শ দিয়েছি। তারা এই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের মতামত জানাবে।’ অলিম্পিকের মহাসচিব শাহেদ রেজা বলেন, ‘এই টার্ফটি কয়েক বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তারা এটা ঠিক করার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’