ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:৩৪, ৬ মার্চ ২০২০

  উবাচ

কথা বলেই মরব স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবার নিজের মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, আন্দোলনের সময় এসে গেছে। মরতেই যখন হবে, তখন বীরের মতো মরব। মরতে যদি হয় কথা বলেই মরব। এর আগেও প্রমাণ হয়েছে মান্না কথা বলা ছাড়া কোন কাজের না। এবরাও সেই একই ভূমিকা পালন করতে করতে তিনি মৃত্যুকে বরণ করতে আগ্রহী। মান্নার কথার মধ্যেই এর প্রমাণ রয়েছে। তিনি বলেছেন ‘একথা সবাই জানেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) আপনাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। ঘাড়ে করে ওদের সমুদ্র পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে যদি সমুদ্রে ফেলে দিতে পারেন, তাহলেই তারা ঘাড়ে থেকে নামবে, তাছাড়া নামবে না।’ মান্নার এই বক্তব্য কোন দিন কি বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব? আওয়ামী লীগ কীভাবে কার ঘাড়ে চাপলো। আর কেউ কি আওয়ামী লীগকে ঘাড়ে করে নিয়ে সমুদ্রে ফেলতে পারবে! তাহলে মান্না এসব কথা বলেন কেন? মানুষ মৃত্যুর আগে অনেক ধরনের কথাই বলেন। তাতে এত পাত্তা দেয়ার কিছু নেই। আমার চেয়ে বড় মস্তান নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমার কাছের লোক হলেও আপনারা কাউকে খাতির করবেন না। কোন মস্তান, বন্দুকবাজ ও লাঠিয়াল বাহিনীর আমার দরকার নেই। কারণ আমি নিজেই জানি আমার চেয়ে বড় মস্তান আর কেউ নেই। আমার বুকের ভেতরে অনেক সাহস আছে। ২০০১ সালের আগের আমার রাজনৈতিক দর্শন আগে ছিল একরকম। জিন্দাবাদ শুনতে ভাল লাগত। ২০০১ সালের পরে আমার এই চিন্তা পরিবর্তন হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এসব কথা বলেছেন। পুলিশের এক সভায় গিয়ে তিনি বলেছেন আমাদের অন্য কোন দলকে দমন করার জন্য পুলিশের দরকার নেই। আমি এসপি সাহেবকে প্রথম দিনই বলেছি ‘আই ডোন্ট নিড দ্য পুলিশ সাপোর্টস’। রাতের বেলা ডাকলে এখনও দুই লাখ লোক বের করতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। ওই ক্যাপাসিটি আমার আছে। ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানকে আটকে রাখার লোক আমরা। কীভাবে আন্দোলন করতে হয়, আর কীভাবে আন্দোলন ঠেকাতে হয় আমরা সেটা জানি। শামীম ওসমানের এই বক্তব্যর সমালোচনা হলেও এই বক্তব্যের একটি ভাল দিক রয়েছে তিনি শুরুতেই বলেছেন আমার কাছের লোক হলেও আপনারা কাউকে খাতির করবেন না। দুনিয়া জুড়ে থাকা মস্তানরা কিন্তু এই কথা বলেন না। তারা সবাই বলেন, আমার কাছের লোককে ছেড়ে দেবেন অন্যদের ধরবেন। শামীম ওসমান সেই প্রথা ভাঙতে চলেছেন। এখন দেখা যাক কথা আর কাজে কতটা মিল পাওয়া যায়। নজরদারি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ কেউ কেউ বলছেন পাপকে ঘৃণা কর কিন্তু পাপিয়াকে নয়। আসলেই তো পাপিয়াতো দুদিন আগেও ঘৃণ্য ছিল না। বরং পাপিয়ার সঙ্গ অবসাদ ঘুচিয়ে সময়কে রঙিন করে দিত। শামীমা নূর পাপিয়া এই মুহূর্তে দেশের সব থেকে আলোচিত নারী চরিত্র। ডাক নামটি তার পিউ। পাপিয়া একটি পাখির নাম। সেই পাখির ডাককেই বলা হয় পিউ। শখ করে ছল করে কেউ পাপিয়া ডাকে কেউ ডাকতেন পিউ। পাঁচতারা হোটেলের দামি কক্ষে পিউ নামের এই পাপিয়া কার কার মনরঞ্জন করেছেন তাদের একটি তালিকা হয়েছে। নিশ্চয়ই আবুলের বাবা মকসেদ বা জসীমের বাবা আক্কাস নামের কেউ পাপিয়ার খদ্দের ছিলেন না। নুন আনতে পানতা ফুরালে তাদের ভাগ্যে কী আর পাপিয়া জোটে। এই নারীর দাপট এতটাই বেশি ছিল যে পাঁচতারা হোটেলের মালিক নিজেই এসে পাপিয়া আর পিউদের সঙ্গে কথা বলে যেতেন। শুধু কি কথা সেই আলোচনা আবার ধারণ করে রাখা হতো। পাপিয়া তাদের জন্য যাদের পকেটও পাপের টাকায় পরিপূর্ণ। এদের আবার বলা হয় সমাজের উঁচু তলার মানুষ। যাদের আঙ্গুল হেলনিতে চিত্রনাট্যের অনেক কিছুই বদলে যায়। আকারে ইঙ্গিতে কারো কারো কথা বলা হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি নামের তালিকা ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও পুলিশ বলছে এসব লেখালেখি করে মানি লোকের মান নিয়ে নয়ছয় করবেন না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন পাপিয়ার পিছনে যারা আছেন তারাও আছেন নজরদারিতে। এখন দেখা যাক নজরদারি করে কোন কিছু বের হয় কি না! নাকি অন্য একটু ইস্যুর জন্ম হলে পাপিয়াকান্ড হারিয়ে যায় দৃশ্যপট থেকে।
×