ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জানালেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম

মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে, সঙ্কট নেই

প্রকাশিত: ১০:১৭, ৬ মার্চ ২০২০

 মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে, সঙ্কট নেই

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, এবার মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ আছে। ওষুধের কোন সঙ্কট নেই। গত বছরের ডেঙ্গুর অভিজ্ঞতা থেকে ‘শিক্ষা নিয়ে’ এ বছর আগেভাগেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে এখন মশা মারার জন্য এক বছরের ওষুধ মজুদ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর তিক্ত যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কয়েক দিন আগে দুই সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখার চেষ্টা করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মশা মারতে যে ওষুধ আনা হয়েছে এবং মজুদ রয়েছে, সেসব ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা নিশ্চয়তা দিয়েছেন, ওষুধের মান নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠবে না। আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের ওষুধ উভয় সিটি কর্পোরেশনের কাছে মজুদ আছে। এসব ওষুধ স্প্রে করার জন্য যে পরিমাণ যন্ত্রপাতি দরকার, তাও আছে বলে আমাকে অবহিত করা হয়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য প্রতি ওয়ার্ডে ত্রিশজন করে লোকবল চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে লোকবলের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। গত বছর সারাদেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুরো বছরে এক লাখের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়, মৃত্যু হয় অন্তত ১৬৪ জনের। সে সময় মশা মারতে ব্যর্থতার জন্য সমালোচনায় পড়ে সিটি কর্পোরেশন। মশা মারার ওষুধ আমদানি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের টানাপেড়েন আদালতেও গড়ায়। এবার ঢাকার দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্ব নেবেন মে মাসে। তাহলে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হয়ে যাবে কি না- সেই প্রশ্নে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যিনি আছেন সঙ্গত কারণেই তিনি দায়িত্ব পালন করবেন এবং সেখানে একটি ম্যানেজমেন্ট রয়েছে, অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন। সেই কর্মকর্তারা কাজ করবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তাদের ডেকে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কথা বলেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি সমস্যার কথা তারা বলেছে এবং সেসব সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। সুতরাং আমার মনে হয় সব ঠিকই আছে। এবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় জলাবদ্ধতা এড়াতে প্রস্তুতি জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য স্বস্তিকর নাগরিক জীবন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি। সেই কাজ করতে গিয়ে পুরো সফলতা অর্জন করিনি। পিছিয়ে আছি তাও নয়। বনশ্রীর খাল সংস্কার করা হচ্ছে, রূপনগর খালে অনেক ময়লা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। আমি নির্দেশনা দিয়েছি ত্রিশ ফুট হলে ত্রিশ ফুটই খনন করা হোক। পুরো লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারলেও ঢাকার রাস্তাঘাট এখন আগের তুলনায় পরিষ্কার হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
×