ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সংবিধানে ভুলভাবে উপস্থাপন করায় রিট

প্রকাশিত: ১০:১৪, ৬ মার্চ ২০২০

  বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সংবিধানে ভুলভাবে উপস্থাপন করায় রিট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংবিধানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ভুলভাবে উপস্থাপন করায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিটের শুনানি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলা বরগুনা থেকে ঢাকার আদালতে ট্রান্সফার (বদলি) চেয়ে তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেস) করে দিয়েছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে সিলেটের টিলাগড়ে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের (সিলেট ইকোপার্ক) ৩৩ পশুপাখির মৃত্যুর বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছে। সংবিধানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ভুলভাবে উপস্থাপন করায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। রাজবাড়ীর রায়নগর গ্রামের কাশেদ আলীর পক্ষে বৃহস্পতিবার কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী রিটটি দায়ের করেন। আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, আবেদনটির ওপর ৮ মার্চ বিচারপতি তারিক উল হাকিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে সংবিধানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভুলটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি বাংলা এবং ইংরেজীতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করা হয়েছে। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের পরিচালকসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলা বদলে মিন্নির আবেদন খারিজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলা বরগুনা থেকে ঢাকার আদালতে ট্রান্সফার (বদলি) চেয়ে তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেস) করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না ও আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এফআর খান। পরে আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম বলেন, আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশ দিয়েছেন। সিলেট ইকোপার্কে ৩৩ পাখির মৃত্যুতে রুল সিলেটের টিলাগড়ে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের (সিলেট ইকোপার্ক) ৩৩ পশুপাখির মৃত্যুর বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে ওই সংরক্ষণ কেন্দ্রের (সিলেট ইকোপার্ক) ৩৩ পশুপাখির জীবন রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনী, আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়ন। চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, পশু সম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক, উপ বন সংরক্ষক ও তানহা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার একটি ইংরেজী দৈনিকে সিলেট বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র যেন ‘কনডেম সেল’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ৩৩ পশুপাখির মৃত্যুর বিষয়ে ওই ইকোপার্ক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান তানহা এন্টারপ্রাইজের দায়সারা পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ দায়ী কিনা, তার অনুসন্ধান প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ৩০ দিনের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও সংরক্ষণ কেন্দ্রটির নিরাপদ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পশুপাখির জীবন রক্ষায় সিলেটের টিলাগড়ের সংরক্ষণ কেন্দ্রটির পশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত পশু চিকিৎসক, নার্স দিয়ে দ্রুত একটি ইউনিট স্থাপনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশোধনী বৃহস্পতিবার দৈনিক জনকণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পিরোজপুরের জেলা জজ প্রত্যাহার ॥ আইনমন্ত্রী, বিচারক সরানো কেন অবৈধ নয়-হাইকোর্টে রুল’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের এক পর্যায়ে ‘বিষয়টি নিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের দৃষ্টিতে আনেন। আদালত রিট করার পরামর্শ দিয়ে আবেদনটি গ্রহণ করেনি মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উক্ত বেঞ্চ রিট করার কোন পরামর্শ দেয়নি। আদালত আবেদনকারীদের কখনও পরামর্শ দেয়ও না। বিষয়টি বরং এখতিয়ারবহির্ভূত হওয়ায় আদালত আবেদনটি ফেরত দেয়। অনবধানবশত এই বাক্য উল্লেখ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিবেদক এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। -বার্তা সম্পাদক
×