ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্র খুন ॥ বাড়িতে আগুন

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৬ মার্চ ২০২০

 বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্র খুন ॥ বাড়িতে আগুন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার খুন হয়েছে এক কলেজছাত্র। এ সময় বন্ধুও আহত হয়েছে। বান্ধবীকে নিয়ে বাগানে বসে আড্ডা দেয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দু’যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এদিকে খুনের এ ঘটনার জেরে বিকেলে উত্তেজিত এলাকাবাসী এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। নিহতের নাম নাঈম সরকার (২২)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার লোকমান সরকারের ছেলে এবং স্থানীয় মডেল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির (মিস্ট) ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। জিএমপির সদর থানার এসআই জাহিদুর রহমান ও এলাকাবাসী জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভুরুলিয়া এলাকার মডেল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্র মুন্না তার কিশোরী বান্ধবীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কলেজের পাশর্^বর্তী লালমাটি মাঠ এলাকার রয়েল বাগানে বসে গল্প করছিল। এ সময় কয়েক যুবককে সঙ্গে নিয়ে বান্ধবীর দু’ভাই রয়েল ও রানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুন্নাকে শাসায় ও মারধর করে। পরে মুন্না সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় মাহবুব সরকার মার্কেটের সামনে তার পথরোধ করে পুনরায় মারধর করতে থাকে যুবকরা। এতে নিরুপায় হয়ে মুন্না তাকে সাহায্যের জন্য বন্ধু নাঈমকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। এ সময় দু’পক্ষের মাঝে বাগ্বিতন্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে যুবকরা নাঈম ও মুন্নাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে নাঈম ও তার বন্ধু মুন্না গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ইমন (২০) এবং রাজন ও রানার বাবা টিপু সুলতান (৪০) নামের দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এদিকে হতাহতের ঘটনার জেরে বিকেলে উত্তেজিত এলাকাবাসী রাজন ও রানার নানা সুন্দর আলী ড্রাইভারের দোতলা ভবনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ বাড়িতে রাজন ও রানাদের পরিবার বসবাস করে। গোপালগঞ্জে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা গোপালগঞ্জ থেকে জানান, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গোলাম মওলা কাজী (২৮) নামে এক যুবককে দু’হাতের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে তার খালাত ভাই ও সহযোগীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোষেরচর উত্তরপাড়া লেক পাড়ে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মওলা কাজী ঘোষেরচর উত্তরপাড়া কলাবাগান এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান কাজীর (মুন্নু কাজী) ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নিহত গোলাম মওলা কাজীর সঙ্গে তারই আপন খালাত ভাই সাদেক খাঁ ও আলামিনের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মওলা কাজীকে তার বাড়ি থেকে লেক পাড়ে ডেকে নিয়ে যায় খালাত ভাই সাদেক ও আলামিন। এরপর সেখানে তারা ও তাদের সহযোগী মিলে মওলা কাজীকে দু’হাতের রগ কেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টঙ্গীবাড়িতে প্রেম করে বিয়ে অতঃপর লাশ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, টঙ্গীবাড়ীতে শাহানাজ বেগম (২২) এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নেত্রাবর্তী গ্রামের রব শেখের বাড়ির পাশের আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহানাজ শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার কোয়ারপুর গ্রামের শামসু সেখের মেয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকার আবু তালুকদার ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে সকাল ৯টায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর হতে নিহতের স্বামী রাসেল দেওয়ান পালাতক রয়েছে। নিহতের বড় বোন সুবর্ণা বেগম জানান, মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক ধরে একবছর আগে নেত্রাবর্তী গ্রামের মুজিবুর দেওয়ানের ছেলে রাসেল দেওয়ানের সঙ্গে বিয়ে হয় শাহনাজের। এর আগেও অপর একটি বিয়ে করে রাসেল। পরে আগের বিয়ের কথা গোপন করে শাহনাজকে ২য় বিয়ে করে রাসেল। এ নিয়ে স্বামী শাশুড়ির সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো তার। আগের বৌ, শাশুড়ি শাহনাজকে বাড়িতে উঠতে না দেয়ায় আমার বোনকে নিয়ে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাস করত রাসেল। ৩ মাস আগে এলাকায় ফিরে আসে তারা। কিন্তু শাহানাজের শাশুড়ি তাকে বাড়িতে উঠতে না দিয়ে পিটিয়ে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়। এরপর গত বুধবার পুনরায় সে বাড়িতে ফিরলে তার স্বামী শাশুড়ি মিলে তাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। আগুনে পোড়া নারীর লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ থেকে জানান, কেরানীগঞ্জের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে ফরিদা আক্তার (৩০) নামে এক নারীর অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অমৃতপুর এলাকার জনৈক দোলেনের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই জমিনুর রহমান জানান, স্বামী পরিত্যক্তা ফরিদা আক্তার ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে একা থাকতেন। তিনি নিজেই শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
×