ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় গণহত্যা জাদুঘরে নিদর্শন হস্তান্তর

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৫ মার্চ ২০২০

খুলনায় গণহত্যা জাদুঘরে নিদর্শন হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ বুধবার বিকেলে খুলনার ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’-এ নিদর্শন হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ব্যবহৃত নিদর্শন গণহত্যা জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়। একই অনুষ্ঠানে একাত্তরের ঘাতক পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর একজন সদস্যের ব্যবহৃত জিনিসও জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে। জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণহত্যা জাদুঘরের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ, বীর উত্তম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোসাম্মৎ হোসনে আরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টি ও বিএল কলেজের শিক্ষক অমল কুমার গাইন। মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ব্যবহৃত বাটালি, হাতুড়ি, বালা, নিজের তৈরি মালা, বই, ভাস্করসহ অনেকগুলো নিদর্শন তার কন্যা ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী জাদুঘরে হস্তান্তর করেন। পাকিস্তানী সেনা কর্নেল ইশতিয়াক আহমেদ কর্তৃক ব্যবহৃত ক্যামেরা ও মানচিত্রের পুস্তক জাদুঘরে হস্তান্তর করেন চুয়াডাঙ্গার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক। নিদর্শন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক তাদের অনুভূতি ও আবেগজড়ানো স্মৃতি দর্শক- শ্রোতাদের সঙ্গে বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ, বীর উত্তম গণহত্যা জাদুঘরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি একাত্তরের স্মৃতি বর্ণনার পাশাপাশি, এই স্মৃতিকে ধরে রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন নিদর্শন দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মাত্র কয়েক বছরে জাদুঘর আজকে যে অবস্থানে এসেছে তা সবার সহায়তায়, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্যে। আগামী দিনগুলোতে জাদুঘরের পথচলায় সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ শংকর কুমার মল্লিক, লেখক সৈয়দ মনোয়ার আলীসহ জাদুঘর সুহৃদ-এর সকল সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
×