ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চলাচলে ভোগান্তি

রামপাল-মংলা সড়ক বেহাল

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৪ মার্চ ২০২০

রামপাল-মংলা সড়ক বেহাল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ দশানী-রামপাল-মোংলা সড়কটিতে চলাচল এখন দুরূহ হয়ে পড়েছে। ছোট-বড় খানা-খন্দে ভরে গেছে এ সড়ক। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে। খানা-খন্দ, ভাঙ্গাচোরা ও আচমকা মোড়ের কারণে প্রায় ৩৪ কিমি এ সড়কে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার হয়নি। চলাচলের উপযোগী রাখতে কোথাও কোথাও ইটের সলিং দেয়ায়, আরও ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই। তবে বাগেরহাট সড়ক বিভাগ বলছে, সড়কটির প্রস্থ সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাস হলেই কাজ শুরু হবে। স্থানীয়রা বলছেন, বাগেরহাট শহরের দশানী থেকে শুরু হয়ে সড়কটি মংলাতে শেষ হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাজার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা রয়েছে। কিন্তু সড়কের এমন বেহাল অবস্থা যে হেঁটে চলাও দায়। যত্রতত্র খানা-খন্দ আর সড়কের ওপরে পাথরের খ- থাকায় উল্টে পড়ে রিক্সা-ভ্যানের মতো ছোট গাড়ি। রাস্তার জীর্ণ দশার কারণে যানবাহনের পেছনেও ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। আচমকা মোড়ের কারণেও হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। নিজেদের দুর্ভোগ কমাতে সড়কের অনেক জায়গায় ইট বিছিয়েও দিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত এই সড়ক সংস্কারের দাবি জানান। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন বলেন, দশানী থেকে মংলা পর্যন্ত ৩৩ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সড়কটির মাত্র ৬ কিলোমিটার জায়গার প্রস্থ ১৮ ফুট রয়েছে। অবশিষ্ট ২৭ কিলোমিটার সড়ককে ১৮ ফুটে উন্নীতকরণ ও পুরো সড়ক সংস্কারের জন্য ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। এছাড়া সাময়িকভাবে সড়কটিকে সচল রাখতে মেরামতের জন্য আমরা দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নির্বাচন করেছি। সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ ভাঙ্গাচোরা এলাকা সংস্কার করা হবে। রূপগঞ্জে সরু রাস্তায় ভারি যান নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সরু রাস্তায় অবাধে চলছে ভারি যান। এতে স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রাস্তায় যাতায়াতকারীরা। জানা গেছে, শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ে উপজেলার রূপসী কাঞ্চন জিসি সড়ক এবং পশ্চিমপাড়ে ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া থেকে দাউদপুরের পুটিনা পর্যন্ত এলজিইডির দুটি সড়ক রয়েছে। এ দুটি সড়কের উভয়টির সংযোগ পূর্বপাড়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা বাইপাস বা এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে। তাছাড়া পশ্চিমপাড়ে ঢাকা বাইপাস ও পূর্বাচলের ৩শ’ ফুট সড়কের সঙ্গে সংযোগ হওয়ায় হাজারো গাড়ি চলাচল করে থাকে। উভয় সড়কের পাশে অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহত্তম শিল্পকারখানা থাকায় এ সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করে আসছে। ফলে নির্মাণের অল্পদিনেই এ সড়কের স্থানে স্থানে ভাঙ্গন, খানাখন্দে পরিণত হয়। আর দীর্ঘদিন এ অবস্থা থাকায় স্থানীয়দের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ১৬ ফুট সরু রাস্তায় ভারি যানবাহনের অবাধ প্রবেশের ফলে দীর্ঘ সময় ধরে যানজটের কবলে পড়ে থাকে। বিশেষ করে ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের জাঙ্গীর বাজার, ভক্তবাড়ি বাজার এবং বেলদী বাজার এলাকায় অবস্থা আরও ভয়াবহ। সড়কটির এসব বাজার এলাকায় অবৈধ দখলদারদের কারণে আরও সরু রূপ নেয়ায় এ ভোগান্তি দূর হচ্ছে না বলে মনে করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম ঝিনু ভুঁইয়া বলেন, একদিকে হাট বাজার এলাকায় সরু থাকা অন্যদিকে বড় বড় মালবাহী গাড়ি প্রবেশের ফলে যানজট হয়ে থাকে। তাছাড়া পূর্বাচল থেকে প্রবেশমুখে হাবিবনগর এলাকার কালভার্ট সরু থাকার ফলে যেসব যান ডেমরা থেকে প্রবেশ করে তা বের হতে পারছে না। ফলে ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে। আব্দুল হক ভুইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী মাহিরা তাসফি প্রভা বলেন, স্কুলে যাবার পথে প্রায় প্রতিদিন এভাবে যানজটের কবলে পড়ি। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের মুশুরী সাহাপুর এলাকার উপজেলার একমাত্র সরকারী হাসপাতালের অবস্থান। হাজারো রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে গ্রামের রাস্তায় শহরের মতো এমন যানজট ভোগান্তিতে পড়ে রোগীরা।
×