ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জানতে চায় হাইকোর্ট

জিকে শামীমের ৪ দেহরক্ষী কিভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন?

প্রকাশিত: ১১:০০, ৪ মার্চ ২০২০

জিকে শামীমের ৪ দেহরক্ষী কিভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অস্ত্র আইন ও অর্থ পাচারের দুই মামলায় গ্রেফতারকৃত ঠিকাদার জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী কিভাবে, কোন যোগ্যতায় অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন, কেন তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের আয়কর রিটার্ন বিষয়েও তথ্য জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্টদের এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ মার্চ দিন ধার্য করে দিয়েছে আদালত। দুদকের পক্ষে এদিন শুনানি করেন আইনজীবী মোঃ খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোঃ শামীম সরদার। আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, জিকে শামীমের দেহরক্ষীদের অস্ত্রের লাইসেন্স আছে কিনা, থাকলে লাইসেন্সের অনুলিপি, লাইসেন্স কখন পেল, অস্ত্রের যদি লাইসেন্স থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা কেন হলো, তারা আয়কর দেন কিনা, দিয়ে থাকলে তাদের আয়কর রিটার্ন সার্টিফিকেট, এসব কিছু হলফনামা করে তাদের আইনজীবীকে জমা দিতে বলেছে আদালত। আমরা শুনানিতে বলেছি, যেসব অপরাধের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সম্মিলিতভাবে। অর্থাৎ এটি একটি অর্গানাইজড ক্রাইম। তাছাড়া তাদের অস্ত্রের যদি লাইসেন্সই থাকবে তাহেল তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা হবে কেন? তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো তদন্তাধীন। এ পর্যায়ে তাদের জামিন হলে তদন্তে বিঘœ ঘটতে পারে। পরে আদালত তথ্য জানতে চেয়েছে। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চার দেহরক্ষী হলেন- মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ শহীদুল ইসলাম, মোঃ কামাল হোসেন ও মোঃ শামশাদ হোসেন। এর আগে গত ৩ ফেরুয়ারি তাদের জামিন কেন প্রদান করা হবে না- এইমর্মে ১০ দিনের রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে আসামিরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আমিনউদ্দিন মানিক জানান, জি কে শামীমকে অবৈধ চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়াড়ি ব্যবসার (ক্যাসিনো) সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। আর এই আসামিরা হলেন তার দুষ্কর্মের সহযোগী।
×