ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘাম ঝরানো জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ৪ মার্চ ২০২০

ঘাম ঝরানো জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

মিথুন আশরাফ ॥ বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল ব্যাটিং দ্যুতি ছড়ালেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রানের ইনিংসের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেললেন। আর বাংলাদেশ ওপেনারের দ্যুতিতে জিম্বাবুইয়েকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪ রানে হারাল বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ও করে নিল টাইগাররা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কষ্ট করে জিততে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে ১৬৯ রানের রেকর্ড জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নিল। এবার তামিমের ১৩৬ বলে ২০ চার ও ৩ ছক্কায় করা ১৫৮ রানের ইনিংসে ১ রান বেশি করে মাশরাফিবাহিনী। ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩২২ রান করে। তামিমের সেঞ্চুরির পাশে মুশফিকুর রহিম ৫০, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪১ ও মোহাম্মদ মিঠুন অপরাজিত ৩২ রান করেন। বল হাতে ডোনাল্ড তিরিপানো ও কার্ল মুম্বা ২টি করে উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। জিম্বাবুইয়ের কাছে বাংলাদেশের করা স্কোর যে অনেক, তা প্রথম ওয়ানডেতেই বোঝা গেছে। রানের দিক দিয়ে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি রবিবার পেয়েছিল বাংলাদেশ। এবার জিম্বাবুইয়ের সঙ্গে সহজেই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বোলারদের ঘাম ঝড়েছে। ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩১৮ রান করে জিম্বাবুইয়ে। বল হাতে ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ব্যাট হাতে সিকান্দার রাজা (৬৬) ও ওয়েসলি মাধেভেরে (৫২) হাফসেঞ্চুরি করার পর শেষদিকে ২৮ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করেন। শন উইলিয়ামস ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। মেহেদি হাসান মিরাজ এলবিডব্লিউ করে দেন উইলিয়ামসকে। আর তাতে করে জিম্বাবুইয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। ৬৭ রানে উইলিয়ামস আউটের আগেই ওপেনার রেগিস চাকাভা (২) ও ব্রেন্ডন টেইলর (১১) আউট হয়ে যান। জিম্বাবুইয়ে শিবিরে হতাশা ঘিরে ধরে। প্রথম ওয়ানডেতে ১৫২ রান করেছিল জিম্বাবুইয়ে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাও কী করতে পারবে? এমন প্রশ্নই উঠে। কিন্তু ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামওয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। হাফসেঞ্চুরি করেন। কিন্তু এরপর আর এগিয়ে যেতে পারেননি। ৭০ বলে ৫১ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যান কামুনহুকামওয়ে। দল অবশ্য ততক্ষণে ১০০ রানে চলে যায়। সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেভেরে এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। দুজন মিলে দলকে ১৮৩ রানে নিয়ে যান। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন। দলকে ২০০ রানের কাছে নিয়ে যান। এই জুটি ভাঙ্গেন তাইজুল। মাধেভেরেকে (৫২) এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙ্গেন। রিচমন্ড মুটুম্বামিকেও (১৯) সাজঘরে পাঠিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে নেন তাইজুল। প্রথম ওয়ানডেতে মুছড়ে পড়েছিলের জিম্বাবুইয়ে ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরেন। ৪২তম ওভারে নিজের নবম ওভার করতে এসে প্রথম তিন বলেই দুটি বাউন্ডারির মার খান মাশরাফি বিন মর্তুজা। পঞ্চম বলে সিকান্দার রাজাকে (৬৬) আউট করে দেন। ৪৬ ওভারে আল আমিন হোসেন বল করতে এসে এক ছক্কা ও দুই চার খেয়ে ১৬ রান দেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওয়ানডে খেলতে নেমে নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি আল আমিন। শফিউল ইসলামের করা অষ্টম ও দলের ৪৭তম ওভারের প্রথম দুই বলেই ছক্কা হাকান ডোনাল্ড তিরিপানো। ম্যাচে উত্তেজনা বেড়ে যায়। তৃতীয় বলেই আবার চার হাকান। ৩০ বলেই তিরিপানো ও মুটুম্বদজি ৫০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। জিম্বাবুইয়েকে আশায় ভাসান। শফিউলের এক ওভারেই ২০ রান আসে। ৪৮তম ওভারে আল আমিন ভালই বোলিং করেন। ৭ রান দেন। একটু চাপ তৈরি করেন। ৪৯তম ওভারে শফিউল এসে ১৪ রান দেন। শেষদিকে ঝলক দেখান জিম্বাবুইয়ে ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারের আগে ৫৮ বলে ১০০ রান করে জিম্বাবুইয়ে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অষ্টম উইকেটে (৮০ রানের জুটি) সর্বোচ্চ জুটিও হয়। শেষ ওভারে জিততে ২০ রান লাগে। আল আমিন শেষ ওভারে বোলিং করতে আসেন। প্রথম বলে ১ রান হয়। দ্বিতীয় বলে মুটুম্বদজিকে (৩৪) আউট করে দেন আল আমিন। তৃতীয় বলে ছক্কা হাকান তিরিপানো। ৩ বলে জিততে ১২ রান লাগে। চতুর্থ বলেও ছক্কা হাকান তিরিপানো। ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরিও করে ফেলেন। ২ বলে জিততে ৬ রান লাগে। পঞ্চম বলে কোন রান দেননি। ১ বলে জিততে ৬ রান লাগে। শেষ বলে এক রান হয়। শেষপর্যন্ত ৪ রানে জয় মিলে। তিরিপানো অপরাজিত ৫৫ রান করেন। জিম্বাবুইয়ে ৩১৮ রান করে। টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সুযোগটি ভালভাবেই কাজে লাগান বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওয়ানডের সেঞ্চুরিয়ান লিটন কুমার দাস দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতে ১২৬ রান করার পর পায়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যান লিটন। ফিট হয়ে ব্যাট হাতে নামলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেননি। ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। দলের ৩৮ রানেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে যান। তামিমের ড্রাইভ ফেরাতে পারেননি বোলার মুম্বা। তবে তার হাতে লেঘে স্টাম্পে বল আঘাত হানে। লিটন দাগের বাইরে থাকেন। মুহূর্তেই বল স্টাম্পে লাগায়, চেষ্টা করেও দাগে ফিরতে পারেননি লিটন। আউট হয়ে যান। লিটন আউট হলেও তামিম নিজেকে একটু বদলে এগিয়ে যেতে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ধীর গতিতে ব্যাটিং করে ইনিংস বড় করার চেষ্টা চালিয়ে যান তামিম। মঙ্গলবার শুরু থেকে ধুমধারাক্কা ব্যাটিং করতে থাকেন। নাজমুল হোসেন শান্ত (৬) ব্যাটিংয়ে নেমেও রান আউট হয়ে যান। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই দল ৬৫ রান করে ফেলার পর শান্ত রান আউট হন। রান দ্রুত স্কোরবোর্ডে জমা হতে থাকে। তবে উইকেট পড়তে থাকায় একটু ভাবনাও যুক্ত হয়। কিন্তু তামিম ও মুশফিক মিলে সেই চিন্তা দূর করে দেন। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে এগিয়ে যেতে থাকেন। দলকে ১০০ রানে নেয়ার পর ১৫০ রানেও নিয়ে যান। এরমধ্যে তামিম ৪২ বলে হাফসেঞ্চুরিও করে ফেলেন। ১৯তম ওভারেই দল ১০০ রানে চলে যায়। দল যখন ২৬তম ওভারে ১৫০ রানে যায়, এর আগে ৪৭ বলে মুশফিকুর রহিমও হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একশতম ওয়ানডে জয়ের ম্যাচে মুশফিক আর ৫ রান করতেই, নিজের ৫৫ রানে আউট হয়ে যান। ছক্কা হাকাতে গিয়ে আউট হন মুশফিক। তামিমের সঙ্গে তার ৮৭ রানের জুটি ভাঙ্গে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তো তামিম ও মাহমুদুল্লাহ মিলে আরও দৃঢ়তা দেখান। একদিকে মাহমুদুল্লাহ উইকেট টিকিয়ে খেলেন। আরেকদিকে তামিম মারমুখি হয়ে খেলেন। অবশ্য এই সময়ে রানের গতি একটু কমেও যায়। যেখানে মনে করা হচ্ছিল, প্রথম ওয়ানডেতে না পারা গেলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রেকর্ড রান করবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৩৩ রান করে, নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করেছিল, সেই রেকর্ড ভাঙ্গবে। কিন্তু তা হয়নি। মুশফিক ২৬তম ওভারে আউট হওয়ার পর মাহমুদুল্লাহ ব্যাট হাতে নামেন। তামিম ও মাহমুদুল্লাহ মিলে দলকে ২০০ রানে ও ২৫০ রানেও নিয়ে যান। কিন্তু যেভাবে রানের গতি বাড়তি ছিল, সেই গতি ধরে রাখা যায়নি। ২৬তম ওভারে দলের রান ১৫৩ ছিল। সেখান থেকে ২০০ রান হতে ১১ ওভার খেলতে হয়। ৩৭তম ওভারে গিয়ে ২০০ রান হয়। ৩১ থেকে ৩৫ তম ওভারে, এই ৫ ওভারে মাত্র ১১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ! ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করতে ১০৬ বল খেলেন তামিম। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার সঙ্গে দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাত হাজার রানও করেন তামিম। মাহমুদুল্লাহও তখন ৪২ বলে ২৫ রান করেন। দুজনের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে রানের গতি কমে যায়। গত দুর্বল হয়ে যায়। বোঝাই যাচ্ছিল, তামিম সেঞ্চুরির অপেক্ষাতেই আছেন। সেই অপেক্ষা ফুরায়। বিশ্বকাপ থেকেই ব্যর্থতার মধ্যে ঘুরপাক খান তামিম। অবশেষে সেঞ্চুরি করে সেই বৃত্ত থেকে বের হন তামিম। সেঞ্চুরি করতেই তামিম আবার মারমুখি হয়ে খেলতে শুরু করে দেন। ৪০তম ওভারে মুতুম্বদজির করা প্রথম চার বলে একটি ছক্কা ও তিনটি চার হাকান। বাউন্ডারির খড়া যে শুরু হয়েছিল, তা কাটে। দেখতে দেখতে তামিম ১৫০ রানও করে ফেলেন। দেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে আগেই একবার দেড় শ’ রান করেছিলেন। ২০০৯ সালের আগস্টে বুলাওয়েতে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যা ওয়ানডেতে দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা ইনিংস। তামিম সেই ইনিংসকে এবার ভেঙ্গে দেন। নিজের গড়া ইনিংস ভেঙ্গে আরও ৪ রান বেশি করে আউট হন। দলের রান যখন ৩০০ ছুইছুই, ২৯২ রানে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যান তামিম। ১৫৮ রান করে আউট হন। শেষ ৩০ বলে ৫৮ রান করেন তামিম। বাংলাদেশ ওপেনারের আগে মাহমুদুল্লাহও (৪১) আউট হলে তামিম ও মাহমুদুল্লাহর ১০৬ রানের জুটি ভাঙ্গে। মাহমুদুল্লাহ আউটের পর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে এগিয়ে যান তামিম। দুজনই ইনিংস শেষ করবেন, এমন মনে করা হয়। কিন্তু তামিম আউট হতেই ৩৪ রানের জুটি ভাঙ্গে। মিঠুন নিজের সহজাত ধুমধারাক্কা ব্যাটিং করতে থাকলেও ব্যাটিংয়ে আসা মেহেদি হাসান মিরাজ (৫), মাশরাফি বিন মর্তুজা (১), তাইজুল ইসলাম (০) দ্রুতই আউট হয়ে যান। ১৯ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। তবে দলকে ঠিকই প্রথম ওয়ানডের চেয়ে বেশি রানে নিয়ে যান মিঠুন। তিনি ১৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রান করে দলকে ৩২২ রানে নিয়ে যান। সঙ্গে থাকেন শফিউল ইসলাম (৫*)। বাংলাদেশ যে রান করে, তা যে অতিক্রম করতে পারবে না জিম্বাবুইয়ে। তা বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হতেই ধরে নেয়া হয়। কিন্তু দেখার ছিল, দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও কী রেকর্ড জয় মিলবে? তা তো মিলেইনি। বাংলাদেশ ফিল্ডারদের ভাল পরীক্ষাও নিয়েছে জিম্বাবুইয়ানরা। জয়ের আশা তৈরি করে হারে। তামিম দ্যুতিতে শেষপর্যন্ত জয় মিলেছে। সিরিজ জয়ও হয়ে গেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ী টাইগারদের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দল মাত্র চার রানে জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খবর বাসসর। ক্রিকেট প্রেমী প্রধানমন্ত্রী এক অভিনন্দন বার্তায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করায় বাংলাদেশ দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা ও ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন,‘ আমাদের খেলোয়াড়দের টিম স্পিরিট ও সিরিজে তাদের পারফরমেন্স দেখে পুরো জাতি গর্বিত।’ প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভবিষ্যতেও এ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রবিবার বাংলাদেশ দল ১৬৯ রানে জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করে। আগামী ৬ মার্চ একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
×