ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শফিকুর রহমান

আলফির বহুমুখী প্রতিভা

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ৩ মার্চ ২০২০

আলফির বহুমুখী প্রতিভা

ছবি আঁকার হাত ছোটকালে মোটেও ভাল ছিল না। ক্লাসে মিস নম্বরই দিত না। মেয়েটির খুব দুঃখ হতো। যখন ক্লাস নাইনে উঠল তখন তার ছবি জনপ্রিয় হলো। যাই আঁকেন রাজ্যের মানুষ তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এখন তার ছবি বিক্রি হয়। দুটি পথ শিশুদের স্কুলের বাচ্চাদের ছবি আঁকা শেখান। পাশাপশি পড়াশোনা করেন আর্কিটেকচার নিয়ে আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রথম বর্ষে। এতক্ষণ যার সফলতার গল্প বলা হলো তিনি হলেন আলফি শাহারিয়ার। ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন। ফেসবুকে তার পেজের নাম ঈধহাধং (যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ঈধহাধং-১৫৬৯৪৯০৯১৬২৬৯৯৬/ ছোট-বড় তিনটি এক্সিবিশনে অংশ নিয়েছেন তিনি। ছবি আঁকার বয়স সাত বছর। গত ১৭-২২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ছোট-বড় ৬৫ জনশিক্ষার্থীর ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন। আলফি জানান, মাননীয় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন তার ছবি দেখে প্রশংসা করেন। সংসদ ভবনে লাগানোর জন্য তার আঁকা এবং কিছু নির্বাচিত ছবি নিয়ে যান। ছবি বিক্রি করেই আলফি তার হাত খরচ, পড়াশোনার খরচের সিংহভাগ মেটান। তিনি বলেন, ‘ছবি একে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন। তবে হাত খরচের টাকা উপার্জন করা মোটেও কঠিন নয়।’ পেশা নয়, নেশা হিসাবেই ছবি আঁকতে আলফি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আলফি কিছু এনজিও এর সাথে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন। বর্তমানেম ৎববহ ংধাবৎং ও নবঃঃবৎ বধৎঃয-এর সঙ্গে সংযুক্ত আছেন। এই সংস্থটি দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগাতে মানুষকে উৎসাহিত করে। আলফি একজন সফল ছাদ বাগানী। তার ছাদে রয়েছে বিভিন্ন ফল, সবজি, ফুলের গাছ। ছোট ছোট কিছু মাছও পালন করেন তিনি। দেশ বিদেশের কয়েক শ’ ডাকটিকেট আলফির সংগ্রহ আছে বলে জানান। কিছু দিন আগের কথা। নিজের জন্মদিন ছিল। আলফি সেদিন এক ব্যতিক্রমী কাজ করেন। নিজের টাকায় ৪০টি বাচ্চার হাতে কালার বক্স উপহার হিসেবে তুলে দেন। যেন ওদের ছবি আঁকতে সুবিধা হয়। ছবি আঁকার জন্য নিরলস সাধনা করতে হয়। এমনটাই আলফি মনে করেন। ছোট কালে লিপিকা আর্ট একাডেমিতে ছবি আঁকা শিখে ছিলেন তিনি। মজার বিষয় হলো এই প্রতিষ্ঠানের এখন ২য় পরিচালক প্রধান তিনি। ছবির শিল্পমূল্য, শিল্পের শ্রম না বুঝে অনেকে দরকষাকষি করেন। এ ব্যাপারটা আলফির পছন্দ নয়। আর কুরিয়ারে ছবি পাঠাতেও কিছুটা ঝামেলা হয় বলে তিনি জানান। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আলফি বলেন, নিজেকে নিয়ে বলার মতো একটি গল্প গড়তে চাই, অন্যের অনুপ্রেরণার কারণ হতে চাই।
×