ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘জনকের মুখ’ চলচ্চিত্রে ফারজানা ছবি

প্রকাশিত: ১৩:২১, ৩ মার্চ ২০২০

‘জনকের মুখ’ চলচ্চিত্রে ফারজানা ছবি

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ দেশের টিভি নাটকের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ফারজানা ছবি। টিভি নাটক ও টেলিফিল্মে বিশেষ বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করে একজন মেধাবী ও গুণী অভিনয়শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। নিয়মিত ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয়ের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ‘জনকের মুখ’ নামের বিশেষ একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ফারজানা ছবি। তথ্য মন্ত্রণালয় এবং মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ওই চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন বরেণ্য নির্মাতা মান্নান হীরা। ৪০ মিনিট ব্যাপ্তির এ চলচ্চিত্রে ফারজানা ছবি মমতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর সোলায়মান চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বাক্ষ্য শহীদ। আরও আছেন বেশ কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। ‘জনকের মুখ’ চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে পঞ্চাশোর্ধ এক নারী মমতা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র সন্তান সোলায়মানকে হারায়। সোলায়মান যুদ্ধে যাবার সময় মা মমতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একটিবার দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ছেলে সোলায়মানের কাছে। কিন্তু সোলায়মান যুদ্ধে শহীদ হয়। মৃত্যুকালে তার আরেক সহযোদ্ধা গোপালের হাতে মায়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি রেখে যায়। তারপর থেকে ঐ ছবিটিই হয়ে ওঠে বৃদ্ধা মমতার একমাত্র সম্বল, অবলম্বন। ছবিটি কখনও তার কাছে জনক হয়ে ধরা দেয় আবার কখনবা যুদ্ধে হারানো তার সেই সন্তান। ৭১ থেকে ৭৪ অব্দি প্রতি বছর ১৪ আগস্ট তার সন্তান হারানোর দিনে মমতা বিন্নি ধানের সিন্নি রেঁধে দিয়ে আসে মসজিদে, মন্দিরে, গীর্জায়। কিন্তু ৭৫-এ এসে ১৪ আগস্ট ঘটতে থাকে সব অশুভ ঘটনা। আতঙ্কিত হয়ে ওঠে মমতা। তারপর ১৫ আগস্ট শুনতে পায় বঙ্গবন্ধুর হত্যার নৃশংস ঘটনা। পুনরায় নিঃস্ব, সম্বলহীন, অবলম্বনহীন হয়ে পড়ে মমতা। প্রশ্ন রাখে বিধাতার কাছে কি কারণে পিতার মরণ জালিমের হাতে? মমতা চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে ফারজানা ছবি বলেন, এই চলচ্চিত্রে আমি একজন শহীদের মা। আমার বয়স দেখানো হয়েছে ষাটের কোঠায়। আমি যুদ্ধ দেখিনি, কিন্তু এ চরিত্রে যুদ্ধের বিভীষিকা নিজের মাঝে ধারণ করে অদেখা সব চরিত্রের কাল্পনিক অস্তিত্ব নিজের মাঝে সৃষ্টি করতে হয়েছে। অচেন অতীতকে বর্তমানে এনে অজানা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের বেশ কিছু দৃশ্যে মমতা চরিত্রের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি কথোপকথন দেখানো হয়েছে যা সত্যিই আমার জন্য বিশাল এক প্রাপ্তি।
×