ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাজলের ক্যানভাসে মুক্তিযুদ্ধ ও নৈসর্গিক বাংলা

প্রকাশিত: ১১:২১, ৩ মার্চ ২০২০

কাজলের ক্যানভাসে মুক্তিযুদ্ধ ও নৈসর্গিক বাংলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্যালারিতে সজ্জিত ক্যানভাসজুড়ে দৃশ্যমান মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ। কোথাও হানাদার বাহিনীর নির্যাতন, কোনটাতে বঙ্গবন্ধুর তেজোদীপ্ত ভাষণ, কোথাও মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানের প্রস্তুতির ছবি। এভাবে রং-তুলির আঁচড়ে অধিকাংশ চিত্রপটে ঠাঁই পেয়েছে বাঙালীর মুক্তিসংগ্রামের। আবার কোন ক্যানভাসে দৃশ্যমান হয়েছে নিসর্গ আশ্রিত গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য। তেলরংয়ে আঁকা ছবিগুলোয় একইসঙ্গে উদ্ভাসিত হয়েছে বাঙালীর সংগ্রাম ও বাংলার নিসর্গের নান্দনিকতা। ছবিগুলো এঁকেছেন সশিক্ষিত শিল্পী আখতার মাহমুদ কাজল। সে সব ছবি নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ৬ নম্বর গ্যালারিতে চলছে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও নৈসর্গিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনী। সোমবার বিকেলে দশ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ও একুশে পদক বিজয়ী ভাষাসৈনিক এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উদ্বোধনী বক্তব্যে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, শিল্পী কাজলকে আমি শিশুকাল থেকেই চিনি। শৈশবেই তার প্রতিভার প্রমাণ পেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ কারও কাছে আবেগের। কারও কাছে বড় রকমের চেতনার। সেই আবেগ-চেতনাই ক্যানভাসজুড়ে ফুটে উঠেছে শিল্পী কাজলের তুলির আঁচড়ে। সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ৪০ বছর ধরে শিল্পচর্চার পরেও তিনি কখনও প্রদর্শনী করেননি- এটা বিস্ময়কর। তার প্রত্যেকটি শিল্পকর্মে দেশ-মা ও মাটির টান স্পষ্ট। তিনি সবসময় বিশৃঙ্খলা, নিষ্ঠুরতা ও হতাশামুক্ত এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। শিল্পকর্মের মাধ্যমে শান্তির প্রত্যাশা এবং আকাক্সক্ষা ফুটিয়ে তুলেছেন। আখতার মাহমুদ কাজল বলেন, শিল্পকর্মে আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি স্কুলে পড়ি। খুব কাছ থেকে দেখেছি পাকবাহিনীর নির্যাতন। যা আমাকে নাড়া দিয়েছে। বাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যও আমাকে টেনেছে। আমার শিল্পকর্মগুলোতে এসবই তুলে ধরেছি। প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে ১০২ তৈলচিত্র স্থান পেয়েছে। আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
×