ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় এসএমই মেলা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন কাল

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৩ মার্চ ২০২০

জাতীয় এসএমই মেলা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন কাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পাটজাত থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রযুক্তি পণ্যের বিশাল সমাহার নিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা। রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে নয় দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের এসএমই মেলায় সারাদেশের ২৯৬ জন এসএমই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত দেশীয় পণ্যসামগ্রী প্রদর্শনী ও বিক্রি করবেন। অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১৯৫ নারী ও বাকি ১০১ পুরুষ রয়েছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীদের অবদান যে বাড়ছে সেটিও এসএমই মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। সোমবার রাজধানীর পান্থপথে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা ২০২০’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন অষ্টমবারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। মেলার বিস্তারিত তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী জানান, বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের মেলায় সারাদেশের ২৯৬ এসএমই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের ৩০৯ স্টলে থাকবে। এসব স্টলে উদ্যোক্তাদের নিজেদের তৈরি দেশীয় পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি হবে। তিনি বলেন, মেলায় দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, আইটি পণ্য, প্লাস্টিক ও সিনথেটিক পণ্য, হস্তশিল্প, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যারসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য প্রদর্শন করা হবে। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসএমই উদ্যোক্তাদের অবদান ও অংশগ্রহণকে স্বীকৃত দেয়ার লক্ষে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক পুরুষ ও নারী ক্যাটাগরিতে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হবে। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ উদ্যোক্তাকে পুরস্কৃত করা হবে। বিজয়ী উদ্যোক্তারা পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ টাকা, ট্রফি ও সার্টিফিকেট পাবেন। নয় দিনের এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এবং সবার জন্য তা উন্মুক্ত থাকবে। শিল্পমন্ত্রী জানান, মেলা উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ৫ মার্চ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের কাছে দেশের এসএমই খাত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে সকালে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ শুধু বিদেশী অতিথিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। লিখিত বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আরও জানান, এসএমই মেলার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা কর্তৃক উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজার সম্প্রসারণ হবে। এসএমই উদ্যোক্তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, যোগাযোগ এবং সেতুবন্ধন তৈরিতে সহায়তা, এসএমই উদ্যোক্তা এবং ভোক্তাদের মাঝে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপন এবং পণ্য উৎপাদন ও সেবা সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভোক্তাসহ বিভিন্ন মহলের সৃজনশীল মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া এবারের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। মেলায় ৩০৯ স্টলে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করবেন উদ্যোক্তারা। শিল্পমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসএমই প্রতিষ্ঠান অনেক উন্নত ও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। কিন্তু বিপণন সুবিধার অভাবে তাদের প্রস্তুতকৃত দ্রব্যাদি প্রদর্শন বা বিক্রির ব্যবস্থা নেই। বরং অনেকক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে তা বিক্রি করতে গিয়ে এসএমই উদ্যোক্তারা নিজের লাভের অংশ হারাচ্ছেন। কাজেই দেশের এসএমইখাতে উৎপাদিত পণ্য বিপণনের সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
×