ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে ট্রেনের টিকেট শেষ ॥ হাতে লিখে যাত্রীসেবা

প্রকাশিত: ১০:০৯, ৩ মার্চ ২০২০

নীলফামারীতে ট্রেনের টিকেট শেষ ॥ হাতে লিখে যাত্রীসেবা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারী রেলস্টেশনে যাত্রীসেবা চলছে পুরনো আমলের ছাপানো টিকেটে। সে ছাপানো টিকেটও সঙ্কট দেখা দিয়েছে ২০ দিন ধরে। ফলে নীলফামারী স্টেশন থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার যাত্রীসেবা চলছে হাতে লেখা টিকেটে। খুলনাগামী রূপসা, সীমান্ত এবং রাজশাহীগামী বরেন্দ্র, তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনেও বিভিন্ন স্টেশনের গন্তব্যে সঙ্কট পড়েছে ওই ছাপানো টিকেটের। সোমবার রেলস্টেশনে গেলে যাত্রীরা অভিযোগ করে জানায় হাতে লেখা টিকেটের যাত্রায় নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। লিখতে সময় লাগায় টিকেট সংগ্রহে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে লাইনে। রেলস্টেশন সূত্র জানায়, নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী চলাচল করে একটি বেসরকারীসহ ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেন। এসব ট্রেনে নীলফামারী স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার যাত্রীটিকেট প্রদান করতে হয়। অন্যান্য স্টেশনে টিকেট প্রদানে কম্পিউটার সিস্টেম চালু থাকলেও এখানে পুরনো আমলের ছাপানো টিকেটই রয়ে গেছে। স্টেশনটিতে ওই ছয় ট্রেনের মধ্যে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন শ্রেণীর (সাধারণ) ছাপানো টিকেট ১৫ দিন আগে শেষ হওয়ায় যাত্রি টিকেটি প্রদান করা হচ্ছে হাতে লেখা টাকা প্রাপ্তির রসিদে। একই কারণে সীমান্ত, রূপসা ট্রেনে নাটোর ও পরাদহ, তিতুমীর ও বরেন্দ্র ট্রেনে জয়পুর হাটের টিকেট প্রদান করতে হচ্ছে। শহরের গোলাম ফারুক পলাশ (৪৫)। তিনি বলেন, নীলসাগর ট্রেনে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা যাবো। লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক অপেক্ষার পর টিকেট নিয়ে দেখতে পাই হাতে লেখা টাকা প্রাপ্তির রসিদ প্রদান করা হয়েছে। বাড়ি এসে কার্বন কপির অস্পষ্ট রসিদটি অনেক কষ্ট করে পড়ার পর দেখতে পাই যাত্রার তারিখ লেখা হয়নি। পুনরায় স্টেশনে গিয়ে সেটি সংশোধন করে নেই। অপর যাত্রী সোলায়মান আলী (৩৫) বলেন, ওই ট্রেনে আমি প্রায় সময়ে ঢাকা যাতায়াত করি। ট্রেনে বেশিরভাগ যাত্রীর কাছে কম্পিউটারাইজ টিকেট থাকে। হাতে লেখা টিকেট নিয়ে ট্রেনে ওঠে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়তে হয়। তারা বলেন, অন্যান্য স্টেশনে যাত্রী টিকেটের সেবায় কম্পিউটার পদ্ধতি চালু হলেও জেলা শহরের স্টেশনটিতে সেটি নেই। ফলে হাতে লেখা টিকেটে আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি অনলাইনের সেবা থেকে আমরা বঞ্চিত হওয়ায় স্টেশনে এসে টিকেট নিতে সময় অপচয় হচ্ছে।
×