ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ মোবাইল বন্ধের প্রযুক্তি আনছে বিটিআরসি

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২ মার্চ ২০২০

 অবৈধ মোবাইল বন্ধের প্রযুক্তি আনছে  বিটিআরসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিটিআরসি নকল আইএমইআই যুক্ত মোবাইল সেটের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)’ স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই অবৈধ মোবাইল সেটের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে। অবৈধ মোবাইল সেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে বিটিআরসি শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আইএমইআই নম্বর যাচাই করে মোবাইল সেট কেনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের এক আগস্ট ক্লোন বা নকল আইএমইআই নম্বরযুক্ত অবৈধভাবে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরও বিদেশ থেকে কিছুসংখ্যক আমদানিকারক অবৈধভাবে নকল মোবাইল সেট আমদানি করেছে। এ সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। এই মোবাইলগুলো বর্তমানে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত আছে। কোন গ্রাহক যাতে অবৈধ মোবাইল সেট ও নকল আইএমইআই সেট না কেনেন তার জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অবৈধ মোবাইল বন্ধের জন্য প্রযুক্তি আনছে বিটিআরসি। যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য বিটিআরসি দরপত্র আহ্বান করেছে। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল সেট কেনার আগে সেটটির বৈধ আইএমইআই’র মাধ্যমে যাচাই করে কেনা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রয় রশিদ নিয়ে তা সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। একই অনুরোধ পুনরায় জানিয়ে বিটিআরসি বলেছে, মোবাইল ফোন কেনার সময় মেসেজ অপশনে গিয়ে কণউ<ংঢ়ধপব> ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ তে পাঠাতে হবে। মোবাইল ফোনের বক্সে বা প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#০৬# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল সেটের আইএমইআই জানা যাবে। বৈধ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ক্রয়ে এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেছে বিটিআরসি। তিন কোটির বেশি অবৈধ মোবাইল সেট মানুষের হাতে রয়েছে বলে বিটিআরসি মনে করছে। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধ করতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিটিআরসি। ২০১২ সালে বিটিআরসি এ উদ্যোগ নেয়ার প্রায় ৮ বছর পর এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করল বিটিআরসি। দীর্ঘদিন পরে হলেও বিটিআরসি এনইআইআর যন্ত্র স্থাপনের বিষয়টিকে তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রক্রিয়া শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেটে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট একটি সিম ছাড়া অন্য কোন সিম কাজ করবে না। নির্দিষ্ট সময় পর কোন সিমই কাজ করবে না। ফলে গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করবেন। বিটিআরসির কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসেবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে। এই তিন কোটি মোবাইল সেট থেকে সরকার কোন রাজস্ব পায়নি। নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ, অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত ও রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে যারা মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়ে এসেছেন বা আনবেন তারা প্রয়োজনীয় দলিলাদি (ক্রয় রশিদ বা অন্যান্য) দেখিয়ে তা বৈধ করতে পারবেন।
×