ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পরিদর্শনকালে অর্থমন্ত্রী

ওয়ালটনের মাধ্যমে আমরা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ দেখব যুক্তরাষ্ট্রে

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ২ মার্চ ২০২০

 ওয়ালটনের মাধ্যমে আমরা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ দেখব যুক্তরাষ্ট্রে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী দিনে ওয়ালটনের মতো আরও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে বলে আশা করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করে দেশের মানুষ খুশি। ওয়ালটন যে অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, তা থেকে তারা বিচ্যুত হয়নি বরং যা আশা করেছি তার থেকেও আরও সুন্দরভাবে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। তারা আমেরিকার বাজারে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে। ওয়ালটনের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ আমরা আমেরিকার বাজারে দেখতে পাব। রবিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটর কারখানার উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত স্মার্টফোন রফতানি, ভারতে বিপুল পরিমাণ এসি রফতানি, অল-ইন-ওয়ান ওয়ালটন পিসি এবং ওয়ালটন টিভির নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ‘আরওএস’ উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বেসরকারী হাইটেক পার্কের স্বীকৃতি পেল। এ সময় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়ালটন এ দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। যাত্রাপথ ঠিক করে তাদের সেই স্বপ্নের পথে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিশ্ববাজারে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, হাউজহোল্ড এ্যাপ্লায়েন্স, কম্প্রেসর ইত্যাদি নিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে মন্ত্রীরা ওয়ালটন কারখানায় পৌঁছালে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী, ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম আশরাফুল আলম, পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম, ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না, রাইসা সিগমা হিমা, রিফাহ তাসনিয়া স্বর্ণা প্রমুখ। উল্লেখ্য, গাজীপুরের চন্দ্রায় রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, হোম এ্যাপ্লায়েন্স, ইলেক্ট্রিক এ্যাপায়েন্স, ডাই মোল্ড কারখানা গড়ে তুলেছে ওয়ালটন। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে যা রফতানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এবার এলিভেটর বা লিফটের মতো ভারি শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে ওয়ালটন। যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১০০০ ইউনিট। খুব শীঘ্রই তা ২০০০ ইউনিটে উন্নীত হবে বলে জানা গেছে। দেশে কারখানা চালু হওয়ায় এ খাতে সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে এলিভেটর আমদানির প্রয়োজন পড়বে না। কর্তৃপক্ষ জানায়, আমেরিকার একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ওয়ালটনের কাছ থেকে স্মার্টফোন নিচ্ছে। ওরিজিনাল ইক্যুপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (ওইএম) হিসেবে ওই ব্র্যান্ডটিকে স্মার্টফোন তৈরি করে দিচ্ছে ওয়ালটন। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি স্মার্টফোনগুলো আমেরিকার বাজারে বিক্রি হবে। একইভাবে ওরিজিনাল ইক্যুপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (ওইএম) হিসেবে ভারতে বিপুল পরিমাণ এসি রফতানি শুরু করেছে ওয়ালটন। ইনভার্টার প্রযুক্তির ব্যাপক বিদ্যুতসাশ্রয়ী এসব এসি ভারতের সর্বত্র বিক্রি হবে। এদিকে, প্রাথমিকভাবে ৩ মডেলের অল-ইন ওয়ান পিসি তৈরি করছে ওয়ালটন। ২১.৫ ইঞ্চির ফুল এইচডি রেজুলেশন স্ক্রীনের এসব পিসিতে ব্যবহৃত হয়েছে ইন্টেলের অষ্টম এবং নবম প্রজন্মের কোরআইথ্রি এবং কোরআই ফাইভ প্রসেসর, রয়েছে ৮ জিবি র‌্যাম, ১ টেরাবাইট হার্ডড্রাইভ, ইন্টেলের আল্ট্রা এইচডি গ্রাফিক্স, ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাসহ অত্যাধুনিক সব ফিচার।
×