ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনার ধাক্কা, এ অচলাবস্থার কবে অবসান হবে তা অনিশ্চিত

দশ হাজার ওমরাহ যাত্রী নিয়ে বিপাকে বিমান ও হাব

প্রকাশিত: ১০:৩২, ২ মার্চ ২০২০

 দশ হাজার ওমরাহ যাত্রী নিয়ে বিপাকে বিমান ও হাব

আজাদ সুলায়মান ॥ করোনাভাইরাসে বাংলাদেশ আক্রান্ত না হলেও খেসারত দিতে হচ্ছে ওমরাহ যাত্রীদের। এখনও পর্যন্ত চীনের সঙ্গে ঢাকা থেকে কোন ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ না হলেও- সৌদি আরবে স্থগিত করা হয়েছে ওমরাহ পালন। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়- গোটা দুনিয়ার ওমরাহ পালনকারীদের বেলায়ও। কবেনাগাদ এ অচলাবস্থার অবসান হবে সেটাও অনিশ্চিত। এ অবস্থায় ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও হাব। সৌদির রাজকীয় এয়ারলাইন্স সাউদিয়ারও একই অবস্থা। ঢাকা থেকে সাউদিয়া এয়ারওয়েজে ফ্লাইটের টিকেট কাটা ওমরাহ যাত্রীরাও একই অবস্থার শিকার। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন, প্রাণপণ চেষ্টা চলছে এ সঙ্কট নিরসনের। সৌদি হজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছি। যাতে ওমরাহ যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়। একই মতামত দিয়েছেন হাব সভাপতি শাহাদত হোসাইন তসলিম। বলেছেন, হাব উদ্যোগ নিয়েছে বলেই বিমান বাধ্য হয়েছে ওমরাহ যাত্রীদের টিকেটের টাকা ফেরত দিতে। এখন সৌদির সঙ্গে আলোচনা চলছে যাতে ভিসা ও হোটেল বুকিংয়ের টাকা আদায় করা যায়। জানা গেছে, দুনিয়াব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়ানোর দরুন হঠাৎ গত সপ্তাহে সৌদি আরব সাময়িকভাবে সব ওমরাহ যাত্রী ও পর্যটকদের সে দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। এতে বিপাকে পড়েন ১০ হাজার বাংলাদেশী ওমরাহর যাত্রী। যারা ইতোমধ্যেই ভিসা করিয়ে রেখেছেন। তারা এখন সৌদি আরবে যেতে পারছেন না। যদিও ভিসার শর্ত অনুসারে বিমান ও হোটেলসহ অন্যান্য প্রস্তুতি বাবদ টাকা খরচ করে ফেলেছে এজেন্সিগুলো। হাব সভাপতি শাহাদত হোসেন তসলিমের মতে-একটি ওমরাহ করতে গেলে দরকার পড়ে ভিসা ফি বাবদ ২২ হাজার টাকা, হোটেল বাবদ আরও ৩০ হাজার টাকা। এই ৫২ হাজার টাকার খরচের পরই ভিসা ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিমানের টিকেটে টাকা। হজে না গেলে বিমানের টিকেট ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিমান এরই মধ্যে টিকেটের টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছে। কিন্তু সৌদি আরবে যেই টাকাটা ভিসা ও হোটেল বুকিং বাবদ চলে গেছে সেটা আদায়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে।
×