ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামীকাল বিএনপির মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১১:৪২, ১ মার্চ ২০২০

আগামীকাল বিএনপির মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপীল আবেদন খারিজের প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি। তবে এর পরিবর্তে আজ রবিবার রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ এবং বিদ্যুত ও পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে দলটি। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে সেখানে পুলিশী ব্যারিকেড দেখে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী অনুসারে এখানে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের এ কর্মসূচী পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। জনগণকে দমিয়ে দেশ চালাচ্ছে সরকার। ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তারপরও তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি জনগণকে সংগঠিত করে তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবার জন্য। আমরা তাকে মুক্ত করব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সমাবেশ করার। কিন্তু পুলিশ আমাদের সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক স্পেস দিচ্ছে না, সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকার। তারা জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না, র‌্যালি করতে অনুমতি দেয় না। এটা এখন একটি গতানুগতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা বেশিদিন চলতে দেয়া যায় না। ফখরুল বলেন, পরিকল্পিতভাবেই অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে সরকার। তবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার বেলা ২টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করার পূর্ব ঘোষণা থাকায় সকাল থেকেই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরী-গয়েশ্বর কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরী বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, দেশে হোক আর বিদেশে হোক তাকে মুক্তি দিয়ে সরকারেরই উচিত উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়া। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁতীদল আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, দেশে অনেক দিবস পালন করা হয়। আসুন আমরা আরেকটা দিবস নির্ধারণ করি। যে দিবস হবে দেশ রক্ষা করার দিবস। এ দিবস হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্তি দিবস, কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দিবস। গয়েশ্বর রায় বলেন, মানুষের সহ্য ধৈর্য্যরে একটা সীমা থাকে। সেই ধৈর্য্যরে সীমা আমার মনে হচ্ছে শেষ পর্যায়ে। অর্থাৎ আমাদের পেছনে যে দেওয়াাল তার আর পেছনে যাওয়ার জায়গা নেই। তাই আমাদের এখন সতর্ক হতে হবে। দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য, দেশকে মুক্ত করার জন্য, সর্বোপরি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য যেখান থেকে ডাক আসুক আমাদের চলে যাওয়া দরকার। গয়েশ্বর বলেন, আজকে ভারতে গণতন্ত্র থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে তা উধাও। আর ভারতে যদি গণতন্ত্র না থাকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকার প্রশ্নই আসে না। কারণ দেশের বর্তমান শাসকরা ভারতের সহযোগিতায় টিকে আছেন। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান প্রমুখ।
×