ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাপিয়ার পেছনে যারা তারাও নজরদারিতে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১১:১৮, ১ মার্চ ২০২০

পাপিয়ার পেছনে যারা তারাও নজরদারিতে ॥  কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শামীমা নূর পাপিয়ার পেছনে যারা আছেন, তারাও নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন শুধু পাপিয়া নয়, অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের সঙ্গে যারাই জড়িত তারা নজরদারিতে আছেন। পাপিয়াদের পেছনে যারা আছেন, তারাও নজরদারির বাইরে নন। টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানম-ি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন। দাম বাড়ানো হলেও মুজিববর্ষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি, বিদ্যুতের চিত্র বদলে যাবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের যে প্রান্তেই হোক, অপকর্ম, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ ও মাদকের সঙ্গে দলের লোকজনও যদি জড়িত থাকেন, তারাও রেহাই পাবেন না। তারা নজরদারিতে চলে এসেছেন। থেমে থেমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া এসব অপকর্মের পেছনে যারা কলকাঠি নাড়ছেন, তারাও রেহাই পাবেন না। বিএনপির বিক্ষোভ আদালতের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে? তারা বিক্ষোভ করছে আদালতের বিরুদ্ধে। এ বিক্ষোভ কোন রাজনৈতিক দল বা ওই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নয়। আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়নি বলেই তারা এ কর্মসূচী পালন করছে। এটা আদালতের বিরুদ্ধে অঘোষিত একটা কর্মসূচী। সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুত ও পানির মূল্য বৃদ্ধি বিদ্যুত ও পানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানি ও বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতেই কিছুটা দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার বিদ্যুতে যেমন ভর্তুকি দিচ্ছে, পানিতেও সে রকম ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে কৃষকের ভর্তুকি খুব কম ধরা হয়েছে। মুজিববর্ষে আমরা শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। প্রত্যেক ঘরে আমরা বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে চাই। সামনে গরমের সিজন, লোকজন যেন কষ্ট না পায় সেজন্য আমরা বিদ্যুত ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন করতে চাই। একটু কষ্ট হলেও জনগণ এর সুবিধা পাবে। পদ্মা সেতুর কাজে সামান্য বিঘœ ঘটবে চীনে করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে প্রভাব পড়বে কিনা এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রায় এক হাজারের মতো চীনা নাগরিক পদ্মা সেতুতে কাজ করেন। এখান থেকে ১৫০ জন ছুটিতে দেশে গেছেন। যদি দুই মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন উন্নতি না হয়, তাহলে পদ্মা সেতুর কাজে সামান্য বিঘœ ঘটবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ থেমে থাকবে না। কয়েকদিন আগেও ২৫তম স্প্যান বসানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরেকটি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে। তারা যদি ছুটি থেকে না আসতে পারেন, তাহলে কাজের কিছুটা সমস্যা হবে। সব মিলিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে পদ্মা সেতুর কাজের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতু কিংবা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলের কাজ বন্ধ হবে না, যথারীতি কাজ চলবে। পদ্মা সেতুর স্প্যান বসবে। কাজ বন্ধ হবে না।
×