ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে বিপুল সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১ মার্চ ২০২০

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে বিপুল সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় সেক্টর। আগামী দিনগুলোতে এই সেক্টরে বেকারদের কর্মসংস্থান হতে পারে। এছাড়াও এই খাতের বিভিন্ন পণ্য দেশীয় প্রযুক্তিতে উৎপাদন ও রফতানি করে আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় পথও হতে পারে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), এটুআই এবং বাংলাদেশ অটোমোবাইলস এ্যাসেম্বলার্স এ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বামা) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা এসব কথা বলেন। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে গবেষণা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে শনিবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বিডার সচিব ড. আবদুল হামিদ, এটুআইর পলিসি এ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী এবং বামার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি তাসকিন আহমেদ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বামার সভাপতি ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমেদ, এটুআইর সোশ্যাল ইনোভেশন ক্লাস্টার প্রধান মানিক মাহমুদ, এটুআইর ইনোভেশন ল্যাবের হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল, বামার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দ্বীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহানা রউফ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইলেক্ট্রনিক গাড়ি কি করা যায় এ বিষয়ে একটি আলোচনা করেছিলাম অনেক আগে। পরে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান পরামর্শ দিলেন বিষয়টি নিয়ে এই তিনটি প্রতিষ্ঠান একত্রে কাজ করা যায়। আমি জেনেছি রানার্স মোটরসাইকেলও ভাল করছে। সাইকেলও অনেক ভাল হচ্ছে। তবে অটোমোবাইলের ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ভারত অনেক এগিয়ে আছে। চুক্তির লক্ষ্য নিয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, এ বছরকে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ষ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে শত শত প্রোডাক্ট আছে। অটোমোবাইলের ক্ষেত্রে কোন কোন কাজ করতে পারি তা খুঁজে বের করে কাজ করা হবে। মূল কাজ করবে বামা আর এটুআই প্রযুক্তি সহায়তা দিবে। প্রোডাক্ট তৈরি করলেই হবে না তাই মার্কেটিংয়ের উপর গুরুত্ব দেন তিনি। অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালকে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বছর হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং এর আওতায় সাইকেল, মোটর সাইকেল, অটোমোবাইল, অটো পাটর্স, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক আইটেম, সোলার ফটো-ভল্টিং মডিউল, ব্যাটারি এবং খেলনা উৎপাদন করার পরামর্শ প্রদান করেন। এই খাতের বিভিন্ন পণ্য দেশীয় প্রযুক্তিতে উৎপাদন ও রফতানি করে আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এর ধারাবাহিকতায় বিডার তত্ত্বাবধানে এটুআইর ইনোভেশন ল্যাবের (আইল্যাব) কারিগরি সহযোগিতায় বামার যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। বামার সভাপতি ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, মেড ইন বাংলাদেশ একটি স্বপ্ন ছিল। গাড়ি, বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল এই নামে বানানোর স্বপ্ন দেখেছি। আশা করছি আমরা এগিয়ে যেতে পারব। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং যেন রফতানি করতে পারি সে চেষ্টা থাকবে। তিনি আরও বলেন, বিডা বিনিয়োগ বিকাশে কাজ করছে। তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণাগুলো কাজে লাগাতে পারলে দেশে-বিদেশে আরও এগিয়ে যেতে পারব। চ্যালেঞ্জ ছিল পলিসি, এ জন্য চুক্তিও হলো। তিনি বলেন, বিদেশে ডিজেল পেট্রোল দিয়ে গাড়ি চলে না ইলেকট্রনিকভাবে চলে। এটা পরিবেশবান্ধব। আমরাও মনে করি এখন আমাদের ইলেকট্রিক গাড়িতে যাওয়া উচিত।
×