ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেন্সরে যাচ্ছে ডিপজলের তিন চলচ্চিত্র

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১ মার্চ ২০২০

সেন্সরে যাচ্ছে ডিপজলের তিন চলচ্চিত্র

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ একসঙ্গে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এর মধ্যে রয়েছে ‘সৌভাগ্য’ ও ‘এ দেশ কার’ এবং ‘এক কোটি টাকা’। প্রথম দুটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন এফ আই মানিক। চলচ্চিত্র দুটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সেন্সরবোর্ডে জমা দেবেন। এর মধ্যে ‘সৌভাগ্য’ চলচ্চিত্রটি গত রবিবার জমা দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ‘এ দেশ কার’ জমা দেয়া হবে। তারপর ‘এক কোটি টাকা’ জমা দেয়া হবে। ‘সৌভাগ্য’ চলচ্চিত্রে ডিপজলের সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ, তমা মির্জা, সাদেক বাচ্চু, আফজাল শরীফসহ অন্যান্য তারকারা। পারিবারিক ও সামাজিক গল্পের প্রেক্ষাপটে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এর গল্প ভাবনায় রয়েছেন ডিপজল নিজে। ডিপজলের প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রই তার নিজস্ব মৌলিক গল্পের চিন্তাভাবনা থাকে। তারপর এর ভিত্তিই গড়ে ওঠে মৌলিক গল্পের ওপর। ডিপজল বলেন, একটি চলচ্চিত্রের প্রাণ গল্প। এ প্রাণকে সজীব ও জীবন্ত করে তোলে এর চরিত্র। আমাদের এখনকার ভাল গল্পের চলচ্চিত্র খুব কম হয়। অথচ চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে ভাল ও সমৃদ্ধ গল্পের বিকল্প নেই। একটি চলচ্চিত্রে যদি ঠিকভাবে গল্পই তুলে ধরা না হয়, তবে দর্শক তা দেখবে কেন? শুধু নায়ক-নায়িকা দেখতে দর্শক হলে যায় না। গল্প যদি ভাল হয়, তবে গল্পের চরিত্রে যেই অভিনয় করুক না কোন দর্শক তাকেই মনে রাখে। পরীক্ষিত ও দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী হলে গল্পটি আরও ভালভাবে ফুটে ওঠে। সৌভাগ্য চলচ্চিত্রে দর্শকের মনে রাখার মতো একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। দর্শক চলচ্চিত্রটি দেখে ঠকবেন না। ‘এ দেশ কার’ চলচ্চিত্রটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এর পেছনে অনেক শ্রম দেয়া হয়েছে। অনেকবার গল্পের সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হয়েছে। এ কারণে চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে। এ চলচ্চিত্রটি দেখেও দর্শক মুগ্ধ হবেন। এছাড়া ‘এক কোটি টাকা’র গল্পও অন্যরকম। তিন চলচ্চিত্রের গল্প তিন ধরনের। আমি বরাবরই চলচ্চিত্রের গল্পের ওপর জোর দেই। গল্প ভাল না হলে তা করি না। প্রয়োজনে চলচ্চিত্র বানানো বন্ধ করে দেই। দর্শকের চাহিদার সঙ্গে আমার চিন্তা-ভাবনার সম্মিলনের মাধ্যমে সিনেমা নির্মাণ করতে পছন্দ করি। যে তিনটি চলচ্চিত্র রেডি হয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেব। তবে ‘সৌভাগ্য’ ঈদের আগে মুক্তি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিপজল বলেন, সঙ্কটকালে একের পর এক ভাল গল্পের চলচ্চিত্র দর্শকদের দিতে পারলে তারা আবার হলমুখী হবে। আমি সেই চেষ্টাই করছি। ২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘চাচ্চু’, ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’সহ পরপর কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে মুক্তি দিয়েছিলাম। এগুলো দর্শকদের আকৃষ্ট করে। ফলে অশ্লীল চলচ্চিত্রের বাজার সুষ্ঠু চলচ্চিত্রের বাজারে পরিণত হয়। এখন আবার সেই উদ্যোগ নিচ্ছি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দর্শকের মনের মতো গল্প ও প্রযুক্তি নিয়েই চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করছি।
×