ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রন্থমেলা প্রতিদিন

বইয়ের সঙ্গে কেটে গেল সারাদিন

প্রকাশিত: ১০:০৭, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বইয়ের সঙ্গে  কেটে গেল  সারাদিন

মনোয়ার হোসেন ॥ বই নিয়ে কেটে গেল সারাদিন। শুরুটা হয়েছিল বেলা এগারোটায়। শেষ হয়েছে রাত নয়টায়। সকালে অভিভাবকদের সঙ্গী করে এসেছিল ছোট পাঠকেরা। দুপুরের গড়ানো বিকেলে এসেছেন পরিণত পাঠকেরা। এভাবেই মেলার শেষ শুক্রবার অগণন পাঠক ও দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা। দিবসের প্রথমার্ধে ছিমছাম পরিবেশে অল্পস্বল্প পাঠক এসেছিলেন মেলায়। স্বাচ্ছন্দ্যে তারা স্টলে স্টলে ঘুরে সংগ্রহ করেছেন পছন্দের বই। তবে বেলার তিনটার পর থেকে বদলে যায় দৃশ্যপট। ক্রমশই বাড়তে থাকে ভিড়। বিকেল পাঁচটার পর থেকে বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের আগমনে জনারণ্যে পরিণত হয় বইমেলা। মেলার দুই ভেন্যু বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিরাজ করেছে একই রকম রূপ। দলবেঁধে, সপরিবারে কেউ বা আবার অথবা বন্ধু পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছিলেনর মননের মেলায়। ছিল না বয়স বা শ্রেণীর সীমারেখা। বিপুলসংখ্যক মানুষের পদচারণায় উড়েছে ধুলো। উদ্যানের ৭ লাখ বর্গফুটের বিশাল পরিসরটিও ছোট হয়ে গিয়েছে মানুষের ভিড়ে। বইমেলা কেন্দ্রিক এমন জনসমাগমে মেলায় পৌঁছানোর দুই প্রবেশ পথ- একদিকে টিএসসি ও অন্যদিকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত দেখা গেছে সারিবদ্ধ জনস্রোত। তবে বইপ্রেমীদের সুশৃঙ্খল মনোভাবের কারণে বাঁধেনি কোন জটলা কিংবা বিশৃঙ্খলা। সবকিছু মিলে যেন শুক্রবারের বইমেলাটি ছিল সুন্দরের প্রতিচ্ছবি। এদিন নতুন আসা বইয়ের সংখ্যা ছিল ৩৪১টি। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকলিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বিষয়ক বইটি নজর কেড়েছে পাঠকের। সকালে ছোট পাঠকের পদচারণায় রঙিন হয়ে ওঠে শিশু প্রহর। শিশু চত্বরের সিসিমপুর মঞ্চে প্রিয় চরিত্র হালুম, টুকটুকি ইকরি ও শিকুর সময় কাটিয়ে বইয়ের খোঁজে স্টলে স্টলে ঢুঁ মেরেছে সোনামনিরা। সকালে বই সংগ্রহ করছিল মতিঝিল আইডিয়ার অষ্টম পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র তাসনীম আহমেদ। কথা প্রসঙ্গে অনুসন্ধিৎসু এই শিক্ষার্থী জানায়, আমি দেশের ইতিহাসকে জানতে চাই। তাই সেলিনা হোসেনের ‘বায়ান্ন থেকে একাত্তর’ বইটি কিনেছি। এছাড়া জাফর ইকবাল আমার প্রিয় লেখক হওয়ায় কিনেছি তার বই ‘যে রকম টুনটুনি সে রকম ছোটাচ্চু’। এ সময় কথা হয় আরেক খুদে গ্রন্থানুরাগী ফারিহা রহমানের সঙ্গে। পঞ্চম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী বলে, আমার পছন্দের অনেকগুলো বই কিনে দিয়েছে মা। সেই তালিকায় আছে রফিকুল ইসলামের ‘আমার ভাষা’, মাহফুজা রহমানের ছড়া ও ছবির বই ‘গুল্টু’, আনিসুল হকের ‘গুড্ডুবুড়া যেভাবে ঢাকাকে বাঁচিয়েছিল।’ সাতাশতম দিনের মেলার বিকেলে মাওলা বাদ্রার্স থেকে বই সংগ্রহ করছিলেন কর্মজীবী নারী তানিয়া রহমান। কী বই কিনলেন জানতে চাইলে বলেন, আমি রাজনীতিবিষয়ক বই পড়তে পছন্দ করি। তাই এই প্রকাশনীর সদ্য প্রকাশিত ‘রেকর্ড অব প্রসিডিংস : দ্য আগরতলা কন্সপিরেসি কেস’ শিরোনামের চার খ-ের গ্রন্থের প্রথম দুই খ- কিনলাম। শেখ হাসিনা সংকলিত বইটিতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচারের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য মেলে ধরা হয়েছে। পুস্তক পরিচিত দেখে বইটির প্রতি আগ্রহী হয়েছি। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাঙালীর মুক্তির সনদ ছয় দফা পেশ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দাবিটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় মে মাসেই গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে আসামি করে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা হয়। সেই মামলাটিই সাধারণের কাছে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে পরিচিতি পায়। তীব্র আন্দোলনের মুখে ১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয় সামরিক সরকার। ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর একটি জীপে করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িটিতে বঙ্গবন্ধুকে নামিয়ে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে অন্য আসামিরাও মুক্তি পায়। সেই অসমাপ্ত মামলার সব তথ্য মেলো ধরা হয়েছে সংকলিত গ্রন্থটিতে। বসন্ত বিকেলে মেলায় এসেছিলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এই কথাশিল্পী বলেন, এবারের মেলায় আজ দ্বিতীয়বারের মতো আসলাম। যেটুকু দেখেছি তাতে ভালই লাগছে। মানহীন প্রকাশনা সংস্থার আধিক্য বলেন, এ ধরনের প্রকাশনা সংস্থাকে মেলা থেকে বাদ দিতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় স্টল বরাদ্দ না দেয়ার বিষয়ে বাংলা একাডেমিকে কঠোর হতে হবে। মেলা যদি শুধু ভাল প্রকাশকদের নিয়ে হয়, তাহলের মেলার পরিবেশ এবং বইয়ের বিক্রি দুইটোই ভাল হবে। প্রকাশক নয় এমন বিক্রেতারা যদি নেট ও পাইরেটেড বই এবং অননুমোদিত বিদেশী লেখকদের বই নিয়ে মেলায় আসে সেক্ষেত্রে প্রকৃত প্রকাশকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি পাঠকরাও প্রতারিত হয়। বিশাল পরিসরে মেলা করার চাইতে গোছানো ও নিয়মতান্ত্রিক মেলা করাটাই বাঞ্ছনীয়। এদিন মেলায় হাজির হয়েছিলেন আনিসুল হক, ইমদাদুদল হক মিলন, মোস্তফা কামাল, সাদাত হোসাইন, নওশাদ জামিলসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠিত এবং নবীন-প্রবীণ লেখক। বিভিন্ন প্যাভিলিয়নে ও স্টলে তারা নিজের লেখা বইয়ের উপর অটোগ্রাফ দিয়েছেন ভক্তদের। সন্ধ্যায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে বই সংগ্রহ করছিলেন আসিফ শওকত। একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, শুধু বইয়ের বিকিকিনি নয়, এই গ্রন্থমেলাটি এখন আমাদের সর্বজনীন উৎসব। এই মেলার মাধ্যমে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সম্প্রীতির চিত্রটির দেখা মেলে। তাই সারাবছর এই মেলার অপেক্ষায় থাকি। আজ শেষবারের মতো এবারের মেলায় এসেছি। তাই বাছাইকৃত বইগুলো সংগ্রহ করেছি। সেই তালিকায় আছে আবুল কাসেম ফজলুল হকের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘রেনেসাঁস ও গণজাগরণ’, জয়দীপ দের উপন্যাস ‘কাসিদ’, আনা ইসলামের ভ্রমণকাহিনী ‘প্যারিসের কররেখা’ এবং তোফায়েল আহমেদের ইতিহাস নির্ভর গ্রন্থ ‘রক্তঝরা মার্চ ১৯৭১ : অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা’। নতুন বই বাংলা একাডেমির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত মেলার ২৭তম দিন পর্যন্ত মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৩৫টি। এর মধ্যে শুক্রবার মেলায় নতুন বই এসেছে ৩৪১টি। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে আবুল কাসেম রচিত বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়ন দর্শন জাতীয়করণ নীতি এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা’। ভাষাচিত্র প্রকাশ করেছে মাসুদ সেজানের কবিতার বই ‘দাঁড়াও সভ্যতা’। দ্যু প্রকাশন এনেছে মনি হায়দারের উপন্যাস ‘চলুন, মানুষের কারখানায়’। পুথিলিয়ন এনেছে বিপ্রদাশ বড়ুয়ার শিশুতোষ বই ‘জাদুর বাঁশি’। হরিৎপত্র এনেছে সেলিনা হোসেনের গল্পগ্রন্থ ‘খোল করতাল’। চন্দ্রবিন্দু এনেছে মাহবুব ময়ূখ রিশাদের উপন্যাস ‘আরিমাতানো’ ও হরিশংকর জলদাসের গল্পগ্রন্থ ‘আহব ইদানিং’। ক্রিয়েটিভ ঢাকা প্রকাশ করেছে তানভীর মোকাম্মেলের ‘নদীর নাম মধুমতি’, ভাষাচিত্র থেকে প্রকাশ হয়েছে কমল কর্নেলের দুইটি উপন্যাস ‘স্বপ্ন ছোঁয়া ভালোবাসা’ ও ‘স্বপ্নের মায়াজাল’। দ্য ম্যাজিক অব হিস্ট্রি মাত্র এগারো বছর বয়সী আমেরিকান বাংলাদেশী লেখক ‘আরিয়ান খান’। এবার সে মেলায় এনেছে তার দ্বিতীয় বই ‘দ্য ম্যাজিক অব হিস্ট্রি।’ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বাবা-মার সঙ্গে বসবাসরত লেখক নিজেই ছোট। সে-ই ছোটদের পাঠোপযোগী করে সহজ সাবলীল ভাষায় সংক্ষিপ্ত আকারে ইতিহাসের কিছু যাদুকরী ঘটনা ও স্থান সম্পর্কে বর্ণনা করেছে এই বইতে। ইংরেজি ভাষায় লেখা বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছে লেখক নিজেই। আর গ্রাফিক ডিজাইন করেছেন শামীম আহমেদ। ঢাকার কৃষ্ণচূড়া প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ১৬ পৃষ্ঠার সচিত্র পুস্তকটির মূল্য এক শ’ টাকা। মেলামঞ্চের আয়োজন শুক্রবার বিকেলে মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আবুল কাসেম রচিত বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শন : জাতীয়করণনীতি এবং প্রথম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ পাঠ করেন অসীম সাহা। আলোচনায় অংশ নেন কাজী রোজী, এম এম আকাশ এবং নাসিমা আনিস। লেখকের বক্তব্য প্রদান করেন আবুল কাসেম। সভাপতিত্ব করেন আতিউর রহমান। প্রাবন্ধিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপাদমস্তক একজন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু কী রাজনীতি, কী অর্থনীতি, কী বিশ্বব্যবস্থাÑসর্বক্ষেত্রেই তার বিস্ময়কর দক্ষতা আমাদের বিস্মিত না করে পারে না। তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে তিনি যে দূরদর্শী অর্থনৈতিক পরিকল্পনাসমূহ গ্রহণ করেছিলেন, তাকে অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ শুধু স্বাগত জানাননি, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বঙ্গবন্ধুর বিস্ময়কর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির মৌলিক উপাদানগুলো কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে প্রয়োগের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তাকেও বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৯৭২-৭৫ সালের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে বঙ্গবন্ধু কতটা উচ্চাতায় তুলে এনেছিলেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে আরও কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতেন, তারই একটি পূর্ণাঙ্গ আকরগ্রন্থ আবুল কাসেমের বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শন। গ্রন্থের লেখক বলেন, বাংলাদেশের মাটি থেকে উত্থিত উন্নয়নের দর্শনই ছিল বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন। এ মহান রাজনীতিবিদ কেবল রাষ্ট্রদর্শনই নয়, অর্থনীতি সম্পর্কেও গভীর জ্ঞান রাখতেন। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন সে বিষয়গুলো এ গ্রন্থে তুলে আনার চেষ্টা করেছি। সভাপতির বক্তব্যে আতিউর রহমান বলেন, রাজনীতির মহান কবি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের মূল কথাই ছিল মানুষ এবং মানুষের কল্যাণ। তিনি যেমন গণতন্ত্রের কথা বলেছেন তেমনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে অর্থনৈতিক নীতিও নির্ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে এ গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কামরুল হাসান, জাহীদ রেজা নূর, অদিতি ফাল্গুনী ও মাসুদ পথিক। কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি রুবী রহমান, কামাল চৌধুরী, নূহ-উল-আলম লেনিন এবং হারিসুল হক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফরিদা পারভীন, সাইদুর রহমান বয়াতি, লীনা তাপসী খান, অদিতি মহসিন ও সেলিম চৌধুরী। আজ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান আজ শনিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার সমাপনী দিন। মেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। গ্রন্থমেলার প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন গ্রন্থমেলার সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী ও সাগুফতা শারমীন তানিয়াকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮ প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২০, ২০১৯ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে তিনটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২০, ২০১৯ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য রোকনুুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২০ এবং ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হবে।
×