ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডি ককের আরেক চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 ডি ককের আরেক চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে বাজে পারফর্মেন্সের পর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের খোলনচে বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে অভ্যন্তরে। সেখানে সাবেক তারকাদের ছড়াছাড়ি। বোর্ডের (সিএসএ) অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর গ্রায়েম স্মিথ, প্রধান কোচ মার্ক বাউচার। ঘরের মাটিতে প্রথম টেস্টে শক্তিধর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শুরুটাও ছিল চমক জাগানিয়া। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সিরিজটা শেষ পর্যন্ত ৩-১এ হেরেছিল ফ্যাফ ডুপ্লেসিসের দল। এরপর কুইন্টন ডি কককে অধিনায়ক করে ওয়ানডে ও টি২০ মিশনে নামা প্রোটিয়ারা একটি সিরিজ ড্র করে, আরেকটিতে হারে। এবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-১এ ওয়ানডে সিরিজ হারে স্বাগতিকরা। হেরে যাওয়া দুটি ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার পারফর্মেন্স ছিল ভীষণ হতাশার। অধিনায়ক ডি কক প্রতিটি সিরিজে ধারাবাহিক রান করছেন, কিন্তু কিছুতেই দলের শেষ রক্ষা হচ্ছে না। এই অবস্থায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন ওয়ানডের সিরিজ। ডি কক বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি এখনও শিখছি। এমন অনেক কিছুই আছে সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে আমি দেখিনি। আশাকরি, আমি আরও ভাল করতে পারি এবং স্কোরকার্ডে ভাল রান যোগান দিতে পারি। তারুণ্যনির্ভর দলে অনেক ম্যাচ উইনার আছে। তাদের একসঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে। প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কতটা গোছানো সেটা তারা টি২০ সিরিজেই দেখিয়েছে। সুতরাং ওয়ানডেতে আমাদের তিন বিভাগে ভাল করতে হবে।’ যে কোন পরিস্থিতি উৎরে গিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে চোখ ডি ককের। তবে কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জের হবে তারজন্য। কারণ কয়েকজন অভিজ্ঞদের ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামতে হচ্ছে প্রোটিয়াদের। বিশ্রাম দেয়া হয়েছে সাবেক অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসিস, ফন ডার ডুসেন ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে। তাদের পরিবর্তে দলে এসেছেন লুথো সিপামলা, জানেমান মালান ও কাইল ভেরেনে। এদিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়া পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামবেন এ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ে জড়িত ছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সেই কেপটাউনেই টি২০ সিরিজ জয়ের স্বাদ নেন স্মিথ-ওয়ার্নার। এই মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হবার পাশাপাশি উইকেটরক্ষক, অধিনায়কের ভারও বহন করছেন ডি কক। গত সেপ্টেম্বরে তিন ফরমেটে ছয় সিরিজের চারটিই হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু’টি ড্র হয়। ভারতের সঙ্গে টি২০ সিরিজ ড্র করা ছাড়াও সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘিœত সিরিজ ড্র করে প্রোটিয়ারা। এর মধ্যে ১৭টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৫টিতে জয় পায় তারা। জয় পাওয়া ৫টি ম্যাচের চারটিতে অবদান ছিল ডি ককের। এর মধ্যে তিনটিতেই ম্যাচসেরা হন তিনি। ছয় সিরিজের মধ্যে পাঁচটিতে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ডি কক। অন্যটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল তার। ওয়ানডে ও টি২০’র দশ ম্যাচে ওপেনার হিসেবে দলের পক্ষে ছয়টিতেই সর্বোচ্চ রান ছিল ডি ককের। ডি কক ব্যর্থ হলেই ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙ্গে পড়ে। সেটি দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে। প্রথম ও তৃতীয় টি২০ ম্যাচের শুরুতেই অসি পেসার মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন তিনি। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপ। তাই ঐ দু’টি ম্যাচে এক শ’র নীচে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।
×