ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মায় বালু উত্তোলন হুমকিতে বাঁধ

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পদ্মায় বালু উত্তোলন  হুমকিতে বাঁধ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাঘা উপজেলার নারায়ণপুরে পদ্মা নদীর শাখায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফা জরিমানা করা হলেও শুক্রবার পর্যন্ত বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ইজারা শর্ত উপেক্ষা করে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর বাঁধ। ভাঙ্গা পাড়ে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে, বাঘা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর চকরাজাপুর ইউনিয়ন সীমানায় ‘রাজাপুর চক’ নামের একটি মহাল ৫৩ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয় শামসুদ্দিন রিন্টু নামে এক ব্যক্তিকে। কিন্তু তিনি অবৈধভাবে নারায়ণপুর এলাকায় মূল পদ্মার শাখা নদীর মাথায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা কয়েক দফা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৮টি ট্রাক জব্দ ও ড্রাইভারের ৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং ইজারাদার শামসুদ্দিন রিন্টু, মহিদুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর জুবান আলী, সুজন আলী ও মুকলেছসহ বালু উত্তোলনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের জরিমানা ও সতর্ক করে দেয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েক দফা অর্থদ- করার পরেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তে নারায়ণপুর সড়ক ঘাট এলাকায় মূল পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে ফসলি জমির পাশ দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ইতোমধ্যে নদীর পাড়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। এলাকাবাসীর আশঙ্কা আসছে বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হবে। অনেকের ঘর-বাড়ি ও বাঁধ পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়দের অনেকেই জানান, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাসোহারা দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন করে চলেছেন প্রভাবশালীরা। ফলে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। ইজারাদার শামসুদ্দিন রিন্টু বলেন, আমি জাতীয় পার্টি করি এ কারণে বিভিন্নভাবে আমার ওপর জুলুম করা হচ্ছে। এ উপজেলায় আরও একজন ইজারাদার বালু উত্তোলন করছেন। তিনি সরকারী দল করায় তার ওপর কোন নির্দেশনা নেই।
×