ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চসিক নির্বাচন ॥ ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোই চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চসিক নির্বাচন ॥ ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোই চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ। অতিসম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন এবং চট্টগ্রামের একটি উপ-নির্বাচনে ভোট পড়ার হার এতই কম যে, তা বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এ তিনটি নির্বাচন হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। কম ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়াকে গণতন্ত্রের জন্য অশুভ হিসাবে দেখছেন অনেকেই। চসিক নির্বাচনও হতে যাচ্ছে একই পদ্ধতিতে। এদিকে, নির্বাচনে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টার কথা জানিয়ে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম। শুক্রবার চট্টগ্রামে তিনি এক দিক নির্দেশনামূলক সভাশেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ইসি রফিকুল ইসলাম বলেছেন, কেউ ভোট কেন্দ্রে গেলেই ভোট দিতে পারবেন। আমরা একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। কোন ঝামেলা হবে না, এটুকু আশ্বস্ত আমরা করতে পারি। ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সেনাবাহিনী দেখবে বলে জানান এই কমিশনার। তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশন কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে কখনও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। এবারও হবে না। তবে কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি থাকবে এবং সেটা পোশাকে। তবে তাদের অস্ত্র থাকবে না। তারা ইভিএমের বিষয়গুলো দেখবেন। স্বাধীনতা দিবসসহ টানা ছুটির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্বাচন পেছানোর দাবি প্রসঙ্গে ইসি রফিকুল ইসলাম বলেন, তা সম্ভব নয়। সে সুযোগ নেই। কারণ, ১ এপ্রিল শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা, যা চলবে পুরোমাস। এরপর রোজা এবং ঈদুল ফিতর। তারপর আসছে বর্ষাকাল। বর্ষাকালে চট্টগ্রাম শহরে নির্বাচন কল্পনা করা যায় না। শুক্রবার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই সংক্রান্ত দিক নির্দেশনামূলক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. হাসানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন খান, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান, বশির আহমেদ, রাঙ্গামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুর রহমান, কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমদ ও কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন। চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২২০ এবং সংরক্ষিত ১৪টি নারী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মেয়র পদে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা হলেন রেজাউল করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), শাহাদাত হোসেন (বিএনপি) সোলায়মান আলম শেঠ (জাতীয় পার্টি), মো. জান্নাতুল ইসলাম (ইসলামি আন্দোলন), এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), এমএ মতিন (ইসলামী ফ্রন্ট), আবুল মনজুর (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (ইসলামিক ফ্রন্ট), খোকন চৌধুরী (স্বতন্ত্র) এবং মো. তানজির আবেদিন (স্বতন্ত্র)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১ মার্চ মনোনয়নপত্র বাছাই, ২ থেকে ৪ মার্চ আপিল, ৮ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ৯ মার্চ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হবে। এরপর ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
×