ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কমছে আদার দাম

প্রকাশিত: ১১:৪১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কমছে আদার দাম

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আদার দাম কেজিতে ৮০ টাকা কমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনাজপুরের পাইকারি বাজারগুলোতে ৮০ টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হচ্ছে। তিন সপ্তাহ আগে এই আদা ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আদার দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন আমদানি-রফতানিকারকরা। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক হারুন উর রশিদ হারুন জানান, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আদা আমদানি হয়েছে ৮শ’ ৩২ টন। ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারে কমতে শুরু করেছে আদার দাম। তিনি জানান, বাংলাদেশে মূলত চীন থেকে আদা ও রসুন আমদানি করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো হয়। কিন্তু চীনে করোনাভাইরাস দেখা দেয়ার পর সে দেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। দেশের বাজারে আদা-রসুনের ঘাটতি যেন না হয় সেজন্য ভারত থেকে তা আমদানি করা হচ্ছে। হিলি পানামা পোর্ট লিঙ্কের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন জানান, হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বন্দরে বর্তমানে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাতটি আদার ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে। এর আগে প্রতিদিন এক থেকে দুটি আদার ট্রাক স্থলবন্দরে প্রবেশ করত। হিলি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান জানান, আমদানিকারকদের কাছ থেকে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে আদা কিনে পাইকারি বাজারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৮০/৮৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। তিন সপ্তাহ আগে আদার বাজার ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় বাজার বাহাদুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ইসমাইল রানা বলেন, এখন পাইকারি বাজারে আদা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে কিনছি। তা বিক্রি করছি ১০০ টাকা দরে। আদার দাম কম হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে সাধারণ ক্রেতার মাঝে। এদিকে হিলি কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আগের চেয়ে আদার আমদানি কয়েকগুণ বেড়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। প্রতিদিন প্রায় সাতটি ভারতীয় আদার ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে। ফেব্রুয়ারি মাসে ৮শ’ ৩২ টন আদা আমদানি হয়েছে। তা থেকে রাজস্ব এসেছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। এর ফলে আদার বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
×