ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ দিনে জমা দিলেন রেজাউল ও ডাঃ শাহাদাত

উৎসবমুখর পরিবেশে চসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

   উৎসবমুখর পরিবেশে চসিক নির্বাচনের  মনোনয়নপত্র দাখিল

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বৃহস্পতিবার উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির ডাঃ শাহাদাত হোসেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এদিন ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন। ফলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় ঘিরে ছিল প্রার্থী ও সমর্থকদের বিপুল সমাগম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিল প্রশাসন। অত্যন্ত সুন্দর আবহে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ মেয়র প্রার্থীসহ মোট ২৮৭ প্রার্থী। রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামানের কাছে বেলা পৌনে ১২টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাবেক চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিপুলসংখ্যক সমর্থক নিয়ে এলেও শোডাউনের ওপর বিধিনিষেধ থাকায় বড় অংশকেই থাকতে হয় বাইরে। জয়লাভের আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভোটাররা নৌকা প্রতীকেই ভোট দেবে। বিজয়ী হলে আমার প্রথম কাজ হবে জলাবদ্ধতা নিরসন করা। তবে বর্তমান সরকারের চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে নগরবাসী দুর্ভোগ থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছিরের কাজের ধারাবাহিকতাও বজায় রাখবেন বলে উল্লেখ করেন। বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বেলা ২টার দিকে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ নেতারা। বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গেও ছিলেন বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক। তাদেরও কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষমাণ থাকতে হয়। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সরকার, রাষ্ট্রযন্ত্র, ইসি এবং আওয়ামী লীগ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ইসিকে ওই বলয় থেকে বেরিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে আসতে হবে। প্রতিক্রিয়ায় তিনি ভোটের জন্য নির্ধারিত দিনটি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন ২৯ মার্চ থেকে পিছিয়ে ৩১ মার্চে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মতব্যক্ত করেন। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পরদিন নির্বাচনের ছুটি। সবমিলে চারদিনের ছুটি পেলে অনেকেই শহরের বাইরে চলে যেতে পারেন। ভোট কম পড়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন। ফলে এতদিন পর্যন্ত যারা মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তাদের সমর্থকদের ভিড়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য। কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে নুর আহমদ সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল মানুষের অবস্থান।
×