ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রন্থমেলা প্রতিদিন

ভ্রমণ সাহিত্যে পাঠকের ঝোঁক

প্রকাশিত: ১১:১৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভ্রমণ সাহিত্যে পাঠকের ঝোঁক

মনোয়ার হোসেন ॥ দেখাদেখির পর্ব পেরিয়ে চলছে বই সংগ্রহের মৌসুম। সেই সুবাদে অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন দারুণ জমজমাট। আর এই জমাটবদ্ধ বইমেলায় অনেকে পাঠকেরই ঝোঁক রয়েছে ভ্রমণসাহিত্যের প্রতি। ভিনদেশের রূপসয় নিসর্গসহ সংস্কৃতি, রাজনীতি ও ইতিহাস জানতে জুড়ি নেই ভ্রমণকাহিনীর। পাঠকচাহিচার বিবেচনায় এবারও মেলায় প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু ভ্রমণকাহিনী। বুধবার মেলার ২৫তম দিন পর্যন্ত সত্তরটির বেশি ভ্রমণগ্রন্থ। নির্বাচিত কিছু ভ্রমণকাহিনীর কথা মেলে ধারা হলো এ লেখায়। এদিকে বুধবার মেলার আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমি জানায়, নীতিমালা ভঙ্গ করে বিদেশী লেখকের বই বিক্রির করার কারণে মঙ্গলবার ২৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শাও চিঠি দেয়া হয়েছে। ভ্রমণকাহিনীর পাঠকচাহিদা প্রসঙ্গে উৎস প্রকাশনীর প্রকাশক মোস্তফা সেলিম বলেন, ক্রমশই ভ্রমণসাহিত্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে পাঠক। কারণ, মানুষের মধ্যে ঘোরাঘুরি প্রবণতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে ভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ সেখানকার রাজনীতিক-অর্থনীতি-সংস্কৃতি যাপিত জীবনকে জানার বিষয়ে বেড়েছে আগ্রহ। সেই কৌতূহল মেটাতেই পাঠকরা ঝুঁকছেন ভ্রমণসাহিত্যে। বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত প্রায় ৭০টির বেশি ভ্রমণগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ভ্রমণকাহিনীটি প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ শিরোনামের স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থটির এবারের মেলার সবচেয়ে আলোচিত এবং সর্বোচ্চ বিক্রীত বইয়ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম সংস্করণের ২০ হাজার কপি শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় সংস্করণের ১০ হাজার কপিও শেষের পথে। বেঙ্গল পাবলিকেশন্স থেকে বেরিয়েছে আনা ইসলামের ‘প্যারিসের কররেখা’। কথাপ্রকাশ থেকে এসেছে খন্দকার মাহমুদুল হাসানের ‘দার্জিলিংয়ে দক্ষযজ্ঞ’ ও সালেক খোকনের ‘দেশে বেড়াই’। উৎস থেকে এসেছে মঈনুস সুলতানের ‘মেকংপাড়ের মন্দির-মুগ্ধ লোকালয়’ ও জ্যোতি বিকাশ বড়ুয়ার ‘চীন ভ্রমণ : কুনমিং-সাংহাই থেকে বেইজিং’। ঐতিহ্য থেকে এসেছে বুলবুল সারওয়ারের ‘কবিতার মুসাফির’। অনন্যা থেকে থেকে এসেছে উৎপল শুভ্রর ‘ক্যারিবিয় কড়চা’, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মো. শামসুদ্দীনের ‘সাউথ সুদান’ ও ‘আইভরি কোস্ট’ ও মেজর এ কে এম তাওহীদের ‘শান্তির দূত বসনিয়ার দিনগুলি’। কাকলী থেকে এসেছে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘দেশের বাইরে দেশ’, শহিদ আশরাফীর ‘নাবিকের কান্না-হাসি ও মুমিত আল রশীদের ‘ইরানের পথে প্রান্তরে’। অনুপম থেকে এসেছে কাজী শফিকুল আযমের ‘ভ্রমণ সমগ্র’। আগামী প্রাশনী থেকে বেরিয়েছে বেলাল আহমেদের ‘ওয়েস্ট টু ইস্ট কোস্ট’, শরিফুল ইসলামের ‘৬৪ জেলায় কী দেখেছি’। অক্ষর প্রকাশনী থেকে এসেছে শামসুজ্জামান খানের ‘দূরে-দূরান্তরে’, নালন্দা থেকে সুধাংশু শেখর বিশ্বাসের ‘মস্কোর ঘণ্টা’, সময় পকাশন থেকে সঞ্জয় দে’র ‘স্তালিনের বাস্তুভিটা’, সূচীপত্র প্রকাশনী থেকে ফেরদৌসী পারভিনের বই ‘গাইরিং থেকে মেঘবাড়ি’, উত্তরণ থেকে দেবাশিস সরকারের ‘বিশ্ব ভ্রমণের ফেরিওয়ালা’, তা¤্রলিপি থেকে শামীর মোস্তাফিজের বই ‘উড়ছে হাইজেনবার্গ’, অন্যধারা প্রকাশনী থেকে হুমায়ূন কবির ঢালীর বই ‘ব্রিজ টু কানাডা’, নালন্দা থেকে তানিয়া হাসানের ‘ভ্রমণকাহন: তুরস্কের গাঁয়ে গঞ্জে শহরে বন্দরে’, ভূমি প্রকাশ থেকে আফরোজা মামুদের ‘মধ্যবিত্তের বিদেশ ভ্রমণ’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ২৩ প্রতিষ্ঠানকে কারণদর্শাও অমর একুশে গ্রন্থমেলার নীতিমালা ও নিয়মাবলীর ৭.১ ধারায় রয়েছে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকগণ কেবল বাংলাদেশে মুদ্রিত ও প্রকাশিত বাংলাদেশের লেখকদের মৌলিক/অনূদিত/সম্পাদিত/সঙ্কলিত বই বিক্রি করতে পারবেন। অথচ এ ধারা লঙ্ঘন করে মেলায় বিদেশী লেখকদের শত শত বই প্রকাশ ও বিক্রি করছেন অনেক প্রকাশক। তাই গ্রন্থমেলার নীতিমালা লঙ্ঘন করায় ২৩ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কারণদর্শাও চিঠি দিয়েছে গ্রন্থমেলার টাস্কফোর্স উপকমিটি। নীতিমাল লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলোÑ জয়বাংলা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, জয় বাংলা আর্ট গ্যালারি এ্যান্ড স্টুডিও, মাইক্রোস ডিজিটাল, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন, শিশু সাহিত্য বইঘর, ছোটদের জ্ঞান-বিজ্ঞান একাডেমি, ছোটদের মেলা, জনতা প্রকাশ, বাঁধ পাবলিকেশন্স, কালিকলম প্রকাশনা, নবরাগ প্রকাশনী, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদ, আলগাজী পাবলিকেশন্স, আবিষ্কার, শিশু-কিশোর প্রকাশন, মুক্ত প্রকাশ, শিশু প্রকাশ, কালধারা, মৌ প্রকাশনী, মেধা পাবলিকেশন্স, নিহাল পাবলিকেশন, অভ্র প্রকাশ। মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমদ স্বাক্ষরিত মঙ্গলবারে দেয়া এই চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান নীতিমাল ও নিয়মাবলী ৭.১ ধারা লঙ্ঘন করেছে। গ্রন্থমেলার টাস্কফোর্স উপ-কমিটি একাধিক দিন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর কথাও বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আবিষ্কার কোয়ালিটি প্রকাশনের প্রকাশক দোলোয়ার হাসান বলেন, যে ধারায় কথা উল্লেখ করে আমাকে চিটি দেয়া হয়েছে সে ধারা আমি লঙ্ঘন করি নাই। অথচ নবযুগ, ইউপিএলসহ অর্ধশত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান লঙ্ঘন করেছেন কিন্তু তাদের চিটি দেয়া হয় না। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আমরা ২৩টি প্রকাশনাকে প্রাথমিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছি। তারা নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন। এই বিষয়ে আমরা পাঠক, লেখক, প্রকাশক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আরও সহযোগিতা কামনা করছি। সংশ্লিষ্ট প্রকাশনাগুলোর কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর আগামী মেলায় আমরা তাদের বিষয়ে ভেবে দেখব। দুই বই বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা এদিকে বুধবার ‘নানীর বাণী’ ও ‘দ্য আরেফিন’ শিরোনামের দুটি বইয়ের প্রকাশনা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি একুশে বইমেলা থেকে বই দুইটি সরিয়ে নিতে বাংলা একাডেমির ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিসি-এসপি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সৃষ্টিঘর প্রকাশনীর থেকে আসা বই দুইটির লেখক দিয়ার্ষি আরাগ। এ-সংক্রান্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে বই দুইটির প্রকাশনা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে আদেশ দেন। এ দুইটি বই মানুষের ধর্মীয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত করেছে উল্লেখ করে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া আদালতের নজরে আনেন। গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ঘোষণা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বুধবার অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি পরিচালিত চারটি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ঘোষণা করেন। ২০১৯ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিকসংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০২০, ২০১৯ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে আবুল হাসনাত রচিত প্রত্যয়ী স্মৃতি ও অন্যান্য গ্রন্থের জন্য জার্নিম্যান বুকসকে, মঈনুস সুলতান রচিত জোহানেসবার্গের জার্নাল গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশনকে এবং রফিকুন নবী রচিত স্মৃতির পথরেখা গ্রন্থের জন্য বেঙ্গল পাবলিকেশন্সকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেডকে রোকনুুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২০ এবং ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিযান (এক ইউনিট), কুঁড়েঘর প্রকাশনী লিমিটেড (২-৪ ইউনিট), বাংলা প্রকাশ (প্যাভেলিয়ন)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হয়। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-র সমাপনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পুরস্কার পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে তুলে দেয়া হবে। কম্বোডিয়ার প্রতিমন্ত্রীর মেলা পরিদর্শন বুধবার বিকেলে কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইত সোফিয়া’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিদর্শন করেন। বাংলা একাডেমিতে কম্বোডিয়ান প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। নতুন বই বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের তথ্যানুযায়ী বুধবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১৫৬টি। এর মধ্যে ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশ থেকে এসেছে সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক বকুল চক্রবর্তীর ‘কর্মে আলোকিত মানুষেরা’। বইটিতে উঠে এসেছে প্রায় ২০০ বছর পূর্ব হতে বর্তমান পর্যন্ত সাধারণের বাইরে গিয়ে যারা ব্যতিক্রমী কিছু করে অন্য মানুষের দৃষ্টিতে এসেছেন এমন ৬০জন আলোকিত মানুষের কথা। কামরুল হকের ‘বঙ্গবন্ধু ও সংবাদপত্রে ছয়দফা থেকে গণঅভ্যুত্থান’ প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। ঐতিহ্য এনেছে মনি হায়দারের ‘এক টুকরা কাগজ’। পাঠক সমাবেশ এনেছে আনোয়ারা সৈয়দ হকের ‘বৃষ্টির ভেতরে রবীন্দ্রনাথ’। শোভা প্রকাশনী এনেছে সেলিনা হোসেনের ‘কথাশিল্পী লায়লা হাসান’ ও আব্দুল মান্নানের ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’। অনিন্দ্য প্রকাশ এনেছে আহমেদ রফিকের ‘চিত্রে ভাস্কর্যে রূপসী মানবী’। সময় প্রকাশন এনেছে ‘শেখ মুজিব কিশোর জীবনী’। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি আবিদ আনোয়ার, জুয়েল মাজহার, নাসরীন নঈম, ফরিদ আহমেদ দুলাল, সোহেল হাসান গালিব। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী শাকিলা মতিন মৃদুলা ও আবু নাসের মানিক। সন্ধ্যায় ছিল মোঃ মাসুম হুসাইনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘পরম্পরা নৃত্যালয়’-এর নৃত্য পরিবেশনা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মানসী সাধু, উম্মে রুমা ট্রফি, ফারহানা ফেরদৌসী তানিয়া, কামাল আহমেদ, আজমা সুরাইয়া শিল্পী, মাহবুবা রহমান, নাসরিন জাহান, মুন্নী কাদের। ন্যায়ের দ- আরো উঁচু হলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলার রায়ের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে ‘ন্যায়ের দ- আরও উঁচু হলো।’ বইটি লিখেছেন মোহাম্মদ শাহজাহান। প্রকাশ করেছে বাংলা প্রকাশনী। বইটি পাওয়া যাচ্ছে ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের প্যাভিলিয়নে। ৩২০ পৃষ্ঠার বইয়ের মূল্য ৫০০ টাকা।
×