ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলে’ চারুকলা অনুষদের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৬ ছাত্রী এই অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যৌন হয়রানি নিরোধ সেলের সদস্য সচিব ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু। তবে এই ধরনের অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। এর আগে, গত বছর জুনে ২ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে।[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ ংঃধৎঃ: }থএড়ইধপশ[জঞঋ নড়ড়শসধৎশ বহফ: }থএড়ইধপশ আলোচিত এই ঘটনায় বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ইনস্টিটিউটের সার্বিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু অভিযোগের ৮ মাস পেরলেও এখনও আলোর মুখ দেখেনি সেই তদন্ত। চারুকলা অনুষদের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীরা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, আমরা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী দ্বারা বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের শিকার হই। যার কারণে আমরা মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছি। পড়াশোনা এবং অন্য কোন কাজেই মনোযোগ দিতে পারছি না। এই ঘটনায় তারা নায্য বিচার দাবি করেছেন। তারা আরও উল্লেখ করেন, কারণে অকারণে স্যার আমাদেরকে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মন্তব্য করে। অফিসে ডেকে বসিয়ে রাখেন। ফ্রি মাইন্ডের কথা বলে মেয়েদের শরীর সম্বন্ধীয় বিষয়ে ইঙ্গিত করে নানা অশালীন ও ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলেন, এমনকি গায়েও হাত দেন। অন্য নারী শিক্ষকদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও অশালীন মন্তব্য করেন। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক কোর্সের নম্বরের কথা উল্লেখ করে ক্ষমতা দেখাতেন বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। জানতে চাইলে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না জেনে কোন মন্তব্য করতে পারব না।
×