ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ববিতে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ছয়জন আহত

প্রকাশিত: ০১:৩৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ববিতে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ছয়জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার ঘটে। গুরুতর আহতদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই মঙ্গলবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতরা হল-রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ রাফি ও রুম্মান হোসেন, ভুতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জিদান হোসেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের হাফিজুর রহমান, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ জামান নাভিদ এবং হাফিজ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘাতে অংশগ্রহণকারী সকলে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের নিজেদের গ্রুপে নিতে অষ্টম ব্যাচের দুটি গ্রুপ শুরু থেকেই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সেই অবস্থানের জেরধরে সংঘাতে জড়ায় অষ্টম ব্যাচের নাভিদ ও রাফি গ্রুপ। আহত রুম্মান হোসেন বলেন, মহানগর বিএনপি নেতার পুত্র তাহমিদ জামান নাভিদ দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নবীন শিক্ষার্থীরা তার সাথে রাজনীতি না করে আমাদের সাথে যোগ দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত ছিলো। তাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রথমে রাফি এবং পরে আমার ওপর হামলা চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ জামান নাভিদ বলেন, রাফি প্রথমে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বন্ধু হাফিজের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে আমরা হাফিজকে উদ্ধারের জন্য ক্যাম্পাসের সামনে আসার পরই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় উভয়ের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে রাতেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এখন শান্ত আছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সংঘাতের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×