ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যুতের আলো জ্বলবে এবার পদ্মার চরাঞ্চলে

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 বিদ্যুতের আলো জ্বলবে  এবার পদ্মার  চরাঞ্চলে

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসা উপজেলা বাঘার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে এবার বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় এমপি ও সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পদ্মার একটি শাখানদী পার করে ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে দুর্গম চরটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিদ্যুত লাইন। নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ ইতোমধ্যেই পদ্মার শাখা নদীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছে। সর্বশেষ রবিবার নিজে উপস্থিত থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেছেন। পদ্মার এক বিচ্ছিন্ন চরের নাম চকরাজাপুর। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এই চরটি নিয়েই চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এর আয়তন ৪৬ বর্গকিলোমিটার। পরিবার প্রায় সাড়ে তিন হাজার। লোকসংখ্যা সেখানে সাড়ে ১৫ হাজার। তারা কখনও ভাবেননি তাদের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। তবে তাদের কল্পনাকে ছাড়িয়ে এবার তাদের বাড়িতে যাচ্ছে বিদ্যুত। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, খুঁটি স্থাপন শেষে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চকরাজাপুর ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে। এই বিদ্যুত চরবাসীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী- মুজিববর্ষের উপহার। তিনি বলেন, দুই বছর আগে যেটা দিবাস্বপ্ন মনে হয়েছে এখন সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে। চরের মানুষকে আর হারিকেন-কুপি ব্যবহার করতে হবে না। নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোমিনুল ইসলাম বলেন, দ্রুত গতিতে এ কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই চরের মানুষ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, তার ইউনিয়নে মাত্র এক কিলোমিটার পাকা রাস্তা। কাঁচা রাস্তা ৪০ কিলোমিটার। গ্রামের সংখ্যা ১৫টি। এসব গ্রামের মানুষ কখনও ভাবেননি যে তাদের এলাকায় বিদ্যুত আসবে। কখনও কেউ কল্পনাও করেননি। কিন্তু তাদের বাড়িতেই এবার বিদ্যুত আসছে। এ নিয়ে উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন তিনি। চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, চরে দুটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের কেউ হারিকেন, আবার কেউ সৌর বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করে। তবে আর কিছুদিনের মধ্যেই তারা বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করতে পারবে। এটা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি। বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে আমাদের কল্পনাও ছাড়িয়ে গেল।
×