ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এভারেস্ট শৃঙ্গ সাফ করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শেরপাদের

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 এভারেস্ট শৃঙ্গ সাফ করা নিয়ে সরকারের  সঙ্গে দ্বন্দ্ব শেরপাদের

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টসহ হিমালয়ের অন্যান্য পার্বত্য এলাকায় জমে থাকা ময়লার স্তূপ পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে নেপাল সরকার। এ কাজে দেশটির সরকার ৮৬ কোটি নেপালী রুপী ব্যয় ধরেছে। সেদেশের সেনাবাহিনী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে নেপালের শীর্ষস্থানীয় শেরপারা। গত বছরও নেপাল সরকার হিমালয় পর্র্বতমালা থেকে ১০ হাজার কেজি আবর্জনা সাফ করেছিল। নেপালের শীর্ষস্থানীয় পর্বতারোহী কামি রিতা শেরপা সরকারের সিদ্ধান্ত সমালোচনা করে বলেন, সেনাবাহিনীর শীর্ষ পর্বতশৃঙ্গগুলোতে ওঠার অভিজ্ঞতা নেই। তাই তারা উচ্চ পর্বতগুলোতে উঠতে পারবে না। শুধুমাত্র নিচু পর্বতগুলো থেকে ময়লা সাফ করবে। ফলে উচ্চ পর্বতগুলোর আবর্জনা থেকেই যাবে। তাই সরকার উঁচু পর্বতমালাগুলোর আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য শেরপাদের সহায়তা নিতে পারে। কারণ শেরপাদের সকল রাস্তা চেনা আছে। কামি রিতা শেরপা ২৪ বার মাউন্ট এভারেস্টে উঠেছেন। কামি রিতা শেরপা আরও বলেন, হিমালয়ের শীর্ষ পর্বতমালাগুলো পরিষ্কারে শেরপারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই সরকার যদি আমাদের উপযুক্ত আর্থিক সহায়তা দেয় আমরা এ কাজ করতে পারি। হিমালয়ের লোটসে, পুমরি, আমাদামলাম, মাকালু ও ধলাগিরি নামের ছয়টি শীর্ষ পর্বত শৃঙ্গ বরাবর পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পর্যটকরা প্রথমে এই ছয় পর্বতশৃঙ্গের একটিতে উঠতে চান। প্রতিবছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে হিমালয় পর্বতমালা এলাকায় ভিড় জমান। এসব পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের পর নেমে আসার সময় পর্যটকরা তাদের ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, পাহাড়ে ওঠার অন্যান্য সরঞ্জামসহ বহু ময়লা ফেলে আসে। পাশাপাশি পর্বতারোহণকালে অনেক পর্যটক মারা যায়। ২০১৯ সালে হিমালয় পর্বতে আরোহণের সময় মোট ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের বেশিরভাগ মৃতদেহ পর্বতেই থেকে যায়। -বিবিসি
×