ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার আন্দোলনে নিয়োগ বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকরা

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 এবার আন্দোলনে নিয়োগ বঞ্চিত প্রাথমিক  শিক্ষকরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেও যোগদানে বিলম্ব হওয়ায় এবার আন্দোলনে নেমেছেন ৪০ জেলার নিয়োগ প্রত্যাশীরা। অবিলম্বে যোগদান ও পদায়ন নিশ্চিত করাসহ তিন দফা দাবিতে রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষকরা। এর আগে এ নিয়োগ পরীক্ষায় সঠিকভাবে কোটা অনুসরণ করা হয়নি অভিযোগ তুলে দেশের ৪০ জেলায় রিট করেন চাকরি পেতে ব্যর্থ হওয়া প্রার্থীরা। এরপর আদালতের রায়ের কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে পাস করা প্রার্থীদের যোগদান ও পদায়ন স্থগিত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দ্রুত তাদের যোগদান সম্পন্ন করতে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় এসে প্রেসক্লাবে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছে। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন ও মাথায় ফিতা বেঁধে নিয়োগের দাবিতে শিক্ষকরা এ কর্মসূচী পালন করছেন। আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ শাওন নাজিউর বলেছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে পাস করেও ৪০ জেলার প্রার্থীদের যোগদান স্থগিত রাখা হয়েছে। একের পর এক আদালতে রিট হচ্ছে আর আমাদের নিয়োগ কার্যক্রম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে। সকল পরীক্ষায় মোকাবেলা করে আমরা পাস করেছি, তার মধ্যে ২০ জেলায় নিয়োগ ও পদায়ন দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বঞ্চিত নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। তার মাধ্যমে দেশের নিয়োগ বঞ্চিত ৪০ জেলার প্রার্থীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধনে যোগ দিয়েছেন। অন্যান্য জেলার ন্যায় ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই যোগদান ও পদায়ন দিতে হবে। এ জন্য সরকারের কাছে তিন দফা দাবি তোলা হয়েছে। দাবিগুলো হলো- দ্রুত নিয়োগ নিশ্চিত করে পদায়ন, মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে যোগদান কার্যকর করা এবং প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরের নিয়োগ বারবার কেন বিলম্বিত হয়- এ বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা। দাবি আদায়ে মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বরাবর একটি স্মারকলিপি দেবেন। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন আবেদন করেন। গত বছর সারাদেশে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। সারাদেশে মাসব্যাপী মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। সর্বশেষে গত ২৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
×