রিফাত-বিন-ত্বহা, নড়াইল থেকে ॥ বঙ্গবন্ধুর নামে লাখো মোমবাতি প্রজ্বালন করে অমর একুশের ভাষা শহীদদের স্মরণ করলেন নড়াইলবাসী। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের কুড়িরডোব মাঠে লাখো মোমবাতির দীপশিখায় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে কুড়িরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি একসঙ্গে জ্বলে ওঠে। একই সঙ্গে দুই শ’ ফানুস ওড়ানো হয়। মাঠের মাঝে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের দৃশ্য মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা পরিবেশন করেন গণসঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। ভাষা শহীদদের স্মরণে এবারের দীপশিখা অনুষ্ঠানটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
একুশের আলোর সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মুন্সি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন খান নিলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, কচি খন্দকার প্রমুখ।
শতাধিক সাংস্কৃতিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক প্রায় এক মাস ধরে এ আয়োজনকে সফল করতে কাজ করছেন। ছয় একরের বিশাল কুড়িরডোব মাঠে অন্যান্য বছরের মতো এবারও কলার গাছ এবং কাঠ দিয়ে শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন আল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। মোমবাতি প্রজ্বালনে কয়েক হাজার শিশু-কিশোর অংশ নেয়। নান্দনিক এ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে নড়াইলসহ পার্শ্ববর্তী জেলার হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হন। কয়েক শ’ পুলিশ, র্যাব, স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবক মাঠের চারপাশের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।
স্কয়ার কোম্পানি লিমিটেডে অনুষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় এবং জেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় একুশের আলো এ আয়োজন করে। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নড়াইল একুশ উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে নড়াইল শহরের কুড়িরডোব মাঠে ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচী শুরু হয়েছে।