ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে নিম্নমানের কাজ

সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলল জনতা

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলল জনতা

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ এলজিইডির একটি রাস্তার বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলেছে স্থানীয় জনতা। এদিকে ওই রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বহুলী জিসি-কোনাবাড়ি এনএইচডব্লিউ ভায়া চন্ডিদাসগাঁতী হাট রোড নামে তিন হাজার ৬৭০ মিটার এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের খামার পাইকোশা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার কাজ খারাপ হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজন বেশ কিছু স্থানে পিচ ঢালাই করা কার্পেটিং তুলে ফেলেছে। খামার পাইকোশা গ্রামের নুর জাহান, আলেয়া বেগম, সেলিম রেজা, আল-আমিনসহ অনেকেই বলেন, দু’দিন আগে কার্পেটিং করা হয়েছে। আর এখন একটা ধরে টান দিলেই পুরো কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ছোট ছোট ছেলেরা টেনে টেনে এসব কার্পেটিং তুলে ফেলছে। এর আগে বুধবার বিকেলে ওই রাস্তার কাজে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে ৫ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও তার সহযোগীরা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বহুলী জিসি-কোনাবাড়ি এনএইচডব্লিউ ভায়া চন্ডিদাসগাঁতী হাট রোড নামে ৩৬৭০ মিটার এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই। দরপত্রের মাধ্যমে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন কাজটি পায়। প্রথমদিকে ৩০ অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত কাজটি শেষ করার মেয়াদ থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়। বর্তমানে রাস্তাটির বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ জানান, এর আগেও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে ওই সড়কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ইট টেস্ট করে আবারও কাজ শুরু করা হয়। বুধবার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা আমরা জানতে পেরে আবারও কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। বিটুমিনসহ অন্য উপকরণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কাজ শুরুর অনুমতি দেয়া হবে। বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার খামার পাইকোশা গ্রামে ওই রাস্তাটির নির্মাণ কাজে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ৫ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। পরে এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আমিরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে ছিল। আদালত থেকে সে জামিনে মুক্তি পায়।
×