ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দিল্লী ভোটের ফল বিশ্লেষণ

মোদি-শাহ নির্ভরতা কমাতে বার্তা আরএসএস’র

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 মোদি-শাহ নির্ভরতা কমাতে বার্তা আরএসএস’র

বিজেপি ধীরে ধীরে মোদি-শাহ নির্ভরতা কমাক এমনটাই চায় ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস। বিজেপির রাজনৈতিক দীক্ষা-গুরু হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি আছে আরএসএসের। দক্ষিণপন্থী সেই সংগঠন দিল্লী ভোটের ফল বিশ্লেষণে বসে মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে বলেছে, সব সময় নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ সাহায্য করতে পারবেন না। সর্বস্ব দিয়ে দিল্লী ভোটে দুই সংখ্যায় পৌঁছতে পারেনি কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল। আনন্দবাজার পত্রিকা। ৮টি বিধায়ক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। দিল্লীর মতো রাজ্যে কেন এই করুণ হাল গেরুয়া শিবিরের। তার পর্যালোচনা করতে বসেছিল বিজেপির সেই রাজনতিক দীক্ষা-গুরু সংগঠন। সেই পর্যালোচনার পর আরএসএস’র মনে হয়েছে, ২০১৫ সালের ভোটের পর শিক্ষা নিয়ে তৃণমূল স্তরে সংগঠন বাড়ায়নি বিজেপি। পাশাপাশি ২০২০-র ভোট প্রচারে শেষ মুহূর্তে সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এই দুয়ের ফলায় এত খারাপ ফল। মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে দাবি সংঘের। তাদের যুক্তি, ‘বিধানসভা নির্বাচনের মতো ময়দানে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ সব সময় সাহায্য করতে পারবে না। সে রাজ্যে তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে বাড়তে দিতে হবে। স্থানীয় সমস্যা ও নাগরিকদের ক্ষোভ বুঝে, সেগুলোর সমাধানে কাজ করতে হবে।’ এই ভোটে বিজেপির ইস্তেহারে উল্লেখ ছিল, অসংগঠিত ১৭শ’ কলোনিকে আইনী স্বীকৃতি দেবে বিজেপি। কিন্তু সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সেই বার্তা ভোটার অবধি পৌঁছনো যায়নি, এমনটাই মত আরএসএস’র। এই ভোটে জাতীয়তাবাদকে ইস্যু করে প্রচারে জোড় দিয়েছিল বিজেপি। শাহিনবাগ আন্দোলন ও সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে চক্ষুশূল্য করে আক্রমণের বার্তা বাড়িয়েছিল দলের মন্ত্রী-সাংসদরা। প্রায় তিন শ’ বিজেপি সাংসদকে পথে নামিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু ১১ ফেব্রুয়ারির ফলে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে পদ্ম শিবিরের ভোট কুশলীদের, দাবি বিশ্লেষকদের।
×