ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দীঘিপাড়া থেকে কয়লা উত্তোলন সম্ভব ॥ জরিপ

প্রকাশিত: ১০:৪০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 দীঘিপাড়া থেকে কয়লা উত্তোলন সম্ভব ॥ জরিপ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাটির নিচে পানি প্রতিরোধে দেয়াল দিয়ে দীঘিপাড়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। কয়লাখনির সম্ভাব্যতা জরিপ শেষে জার্মানির দুটি প্রতিষ্ঠান বলছে দীঘিপাড়া থেকে কয়লা তোলা জটিল হলেও অসম্ভব নয়। তবে কয়লা উত্তোলনের ব্যয় অত্যধিক হওয়াতে দীঘিপাড়া খনির উন্নয়ন এখনই সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্ভাব্যতা জরিপের ফল তুলে ধরে ঠিকাদার কোম্পানি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুত জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিশ্বময় জ্বালানির রূপান্তর ও বহুমাত্রিক ব্যবহার চলছে। জ্বালানির মিশ্রণ-এর ভাল বিকল্প আমাদেরই স্থির করতে হবে। দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আগামী প্রজন্মের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সম্ভাব্যতা জরিপ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এখান থেকে কয়লা তুলতে তিন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। আর সব কয়লা তুলতে পারলে সাত বিলিয়ন ডলারের কয়লা পাওয়া যাবে। বার্ষিক যে কয়লা তোলা হবে তা দিয়ে এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্র চালানো সম্ভব। দীঘিপাড়া কয়লাখনিতে জরিপ করতে একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি (বিসিএমসিএল) ২০১৭ সালের ৩১ মে একটি চুক্তি সই করে। জার্মানির দুই কোম্পানি মিবরাগ কন্সালটিং ইন্টারন্যাশনাল জিএমবিএইচ ও ফুগরো জার্মানি ল্যান্ড জিএমবিএইচ এবং অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি আরপিএম গ্লোবাল নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এই কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়। সম্ভাব্যতা জরিপে বলা হয়েছে, খনিতে সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ৭০৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। খনির ১২ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই কয়লা ছড়িয়ে আছে। এ খনি থেকে এতদিন পানির কারণে কয়লা তোলা না গেলেও নতুন এক পদ্ধতিতে কয়লা তোলা যাবে। মাল্টিস্লাইস লংওয়াল টপ কোল কেভিং উইথ কাট অব ওয়াল পদ্ধতি অর্থাৎ মাটির নিচে দেয়াল দিয়ে পানি প্রতিরোধের মাধ্যমে এ কয়লা তোলা যাবে। এ পদ্ধতিতে বার্ষিক ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন হিসেবে ৩০ বছরে ৯০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে দীঘিপাড়া কয়লাখনি ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
×