ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আর ২৬ দিন

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 আর ২৬ দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষা করে আছে গোটা জাতি। বাকি আর ২৬ দিন। সময় যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে নানা কর্মসূচী ও পরিকল্পনার খবর। এ নিয়ে নিয়মিত কাজ করছে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। সেখানেই জমা হচ্ছে সব প্রস্তাব। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি এখন পর্যন্ত কেমন মনে হচ্ছে? জানতে মঙ্গলবার কথা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখক গবেষক লে. কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহিরের সঙ্গে। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হচ্ছে। বড় বড় উৎসব অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। ভাল কিছু হবে বলেই আশা তার। তবে একইসঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, শুধু আনুষ্ঠানিকতা যেন না হয়ে যায়, সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী বড় উপলক্ষ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অনেক ভাল কিছু করার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে তার নিজের কী প্রস্তাব? জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে। সেখানে আমার পক্ষে যেটুকু সম্ভব, পরামর্শ ও প্রস্তাব দিচ্ছি। পরে নির্দিষ্ট করে তিনি বলেন, পাঁচটি মিলনমেলা করার প্রস্তাব দিয়েছি আমি। এসব মেলায় বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকরা অংশ নেবেন। শেখ মুজিব আমাদের জাতির পিতা। আজকের বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, এ ক্ষেত্রে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতেরও ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাদের বহু সৈনিক মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন। শহীদের সংখ্যাও অনেক। তারও আগে থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর জনগণ আমাদের সর্বোতভাবে সহায়তা করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্যও তাদের অগাধ ভালবাসা। আমি দেখেছি। এ কারণেই চাই, তারাও জন্মদিনের উৎসবে যোগ দিক। তিনি জানান, ভারতের অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা বর্ডারে তিনটি মিলনমেলা আয়োজন করা হবে। পশ্চিমবঙ্গে হবে দু’টো। এ উপলক্ষে নোম্যান্স ল্যান্ডে মুজিব মঞ্চ নির্মাণ করা হবে। মঞ্চে আলোচনা স্মৃতিচারণ ছাড়াও থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজন। এদিন বর্ডার খুলে দেয়ার প্রস্তাব করেছি আমি। তবে বিজিবি ও বিএসএফ থাকবে। তারা উদ্যাপনে বাধা হবেন না। বরং সহায়তা করবেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ব্যতিক্রমী এ মিলনমেলা। বাংলাদেশ ভারত সরকার একসঙ্গে এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন লে. কর্নেল (অব) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।
×