ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৮ ফেব্রুয়ারি ॥ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশের অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং তাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমারেখার মাঝামাঝি সেনাবাহিনীর আগমন ঘটে সেটা তাদের কাউন্টার ইনসার্জেনসি। সবাই জানেন যে, সেখানে আরাকান আর্মি ও অন্যান্য ইনসার্জেনস গ্রুপ রয়েছে। সেখানে তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ হচ্ছে। সেই সংঘর্ষের জন্য কখনও তারা সৈন্যদের রিহনফোর্স করার জন্য ঘটায়। মিয়ানমার বলেছে, তাদের সংবিধান অনুযায়ী অন্য কোন দেশের সীমালঙ্ঘন তাদের সংবিধান পরিপন্থী। তারা বরঞ্চ ওইসব গ্রুপের সঙ্গে লড়াই করার জন্য আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা যেন ওইসব গ্রুপকে আমাদের এলাকায় ঢুকতে না দেই, তাহলে তারা কৃতজ্ঞ থাকবে বলেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। সেনাপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে ওইসব গ্রুপ বা সন্ত্রাসীকে আমাদের জায়গা ব্যবহার করতে না দেয়ার। আর সেন্টমার্টিনের বিষয়ে যদি আকাশসীমা লঙ্ঘিত হয়ে থাকে তাহলে সেটা অনাকাক্সিক্ষত বলেছে মিয়ানমার। তারা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে যেন ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা আর না ঘটে। তাদের সঙ্গে বৈঠকে আমি সন্তুষ্ট। তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে এবং শান্তিরক্ষা মিশনে এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। অবস্থান আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটসমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্তি যে কোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশমাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
×