ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রদর্শনের জন্য আনা হলো রেপ্লিকা কোচ;###; জুন থেকে আসবে মূল কোচ;###;সার্বিক অগ্রগতি ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ

ডানা মেলছে মেট্রোরেল

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 ডানা মেলছে মেট্রোরেল

রাজন ভট্টাচার্য ॥ লাইন স্থাপনের কাজ আনুষ্ঠানিক শুরুর পর নগরীর যানজট নিরসনে সবচেয়ে আশা জাগানিয়া ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ মেট্রো রেলের নির্মাণ কাজে আরেকধাপ অগ্রগতি হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ’২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু সামনে রেখে প্রায় ২১ কিলোমিটারজুড়ে চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। রাতদিনের ব্যস্ততা। ইতোমধ্যে প্রদর্শনের জন্য নমুনা কোচ ঢাকায় পৌঁছেছে। রাজধানীর বাসিন্দাদের মেট্রোরেল সম্পর্কে ধারণা দিতে প্রদর্শনের জন্য রেপ্লিকা কোচ জাপান থেকে ঢাকায় আনা হয়। উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোর কন্টেনার থেকে বের করা হয়েছে কোচ। এই কোচ দিয়েই নগরবাসীকে মেট্রোরেলে চড়ানো শেখানো হবে। তবে নমুনা কোচ হওয়ায় মূল পরিবহন বহরে এটি যুক্ত হবে না। সোমবার সকালে কোচটির মোড়ক খোলা হয়। সব মিলিয়ে মেট্রোরেলে প্রকল্প বাস্তবায়ন এখন আর স্বপ্ল নয়। মাটি ফুঁড়ে আকাশে ডানা মেলতে শুরু করেছে প্রকল্পটি। প্রদর্শনীর জন্য কোচটি আগামী মাস থেকেই উন্মুক্ত করা হবে। আর যাত্রীবাহী মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানান ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, একবছর ধরে জাপানে এগুলো তৈরি করা হয়েছে। দেশে আসার পর এগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের (ওসিসি) সঙ্গে মিলে চলতে পারছে কিনা তার জন্য ট্রায়াল রান দেয়া হবে। এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, রেপ্লিকা কোচটি জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে। এই কোচ শুধু প্রদর্শন করা হবে, যুক্ত হবে না যাত্রী পরিবহন বহরে। মূল কোচগুলো যে উপাদান দিয়ে, যেভাবে তৈরি করা হবে এটিও সেভাবেই তৈরি হয়েছে। উত্তরায় মেট্রোরেলের যে তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে এটি সাধারণ মানুষের দেখার ও শেখার জন্য প্রদর্শিত হবে। তিনি আরও বলেন, উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোর পাশে ভিজিটর সেন্টার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এমআরটি তথ্য ও প্রদর্শন কেন্দ্রের ভেতরেই রাখা হবে নমুনা ট্রেনটি। সেখানেই দর্শনার্থীদের টিকেট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ানো, ট্রেন থেকে নামা- এসব বিষয়ে ধারণা দেয়া হবে। ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে রাজধানীর মানুষ প্রথম মেট্রোরেলে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমটিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি বলেন, সেই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশে আসা মেট্রোরেল ট্রেন সেট জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো থাকবে। ছয় কোচের ট্রেন ॥ মেট্রোরেলের প্রতি র‌্যাকে ১ হাজার ৭৩৮ যাত্রী পরিবহন করবে। তবে বেশিরভাগ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। দাঁড়ানোর জন্য সুব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভেতর। প্রতিটি কোচের দু’দিকে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেনে সিটের ধরন হবে লম্বালম্বি এবং প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দ’টি হুইলচেয়ার পাশাপাশি রাখার ব্যবস্থা। প্রতিটি ট্রেনের ছয়টি কোচের মধ্যে একটি কোচ শুধু নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সার্বিক অগ্রগতি ৪০ ভাগ চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেট্রোরেলের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ জানিয়ে গত সপ্তাহে সংসদে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উদ্যাপন বর্ষের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) আওতায় ছয়টি ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) মেট্রোরেলের সমন্বয়ে মোট ১২৮ দশমিক ৭৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ (উড়াল ৬৭ দশমিক ৫৬৯ কিলোমিটার এবং পাতাল ৬১ দশমিক ১৭২ কিলোমিটার) ও ১০৪ স্টেশন বিশিষ্ট (উড়াল ৫১ এবং পাতাল ৫৩) শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি আরও জানান, এ পরিকল্পনা অনুসরণে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে। ওবায়দুল কাদের জানান, প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। ইতোমধ্যে ৯ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। ট্রেনে ওঠার ধারণা পাবেন নগরবাসী প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, জাপান থেকে আনা কোচটি প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষ জানতে পারবে ট্রেনে কীভাবে টিকেট কাটতে হবে, কীভাবে উঠতে হবে, দরজা কোন্দিকে, কীভাবে নামতে হবে। এখানে সম্পূর্ণ ট্রেন থাকবে না, একটা অংশ থাকবে। ডিএমলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, আগামী মার্চে তথ্য কেন্দ্রটি সবার জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। অন্যান্য জিনিস এক্সিবিশন সেন্টারে থাকবে। আমরা সেগুলো একটা একটা করে আনব। এগুলো আনার পর মার্চের প্রথমদিকে সেন্টারটি চালুর একটা দিন ঠিক করতে পারব। মেট্রোর সকল কোচ জাপানে তৈরির কথা জানিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুণগত মান ঠিক রেখে কোচগুলো জাপানে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে আসার পর এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে মিল রেখে চলতে পারছে কিনা তা দেখতে ট্রায়াল রান চলবে। এভাবে একটা একটা করে ট্রেন আসবে এবং ট্রায়াল রানের মাধ্যমে প্রস্তুতি সারা হবে। মেট্রোরেলের জনসংযোগ শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, জাপান থেকে একটি মকআপ বা রেলের একটি বগির অর্ধেক আনা হয়েছে, যা মেট্রোরেলের এক্সিবিশন ও ইনফর্মেশন সেন্টারে রাখা হবে। মেট্রোরেলের ডিজিটাল সেন্টারটি আগামী মাসে কিংবা তার পরের মাসে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্বোধন করবেন। সেখান থেকে মেট্রোরেলে কীভাবে উঠতে হবে, কীভাবে টিকেট কাটতে হবে, কীভাবে বসতে হবে এবং এটি কীভাবে চলাচল করবে তা বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের বিষয়ে মানুষের নানা আগ্রহ রয়েছে। এটি কেমন হবে, কোন্ আকৃতির হবে, এসব বিষয়ে আগ্রহী মানুষ এই প্রদর্শনীতে এসে সরাসরি জানতে পারবে। এতে যাত্রীরা যখন সরাসরি মেট্রো ব্যবহার করবে তখন অনেক সহজ হবে। উত্তরার দিয়াবইড়তে প্রকল্পের ডিপোতে নিয়োজিত কর্মীরা জানিয়েছেন, পাথর-বালুর মিশ্রণে সাববেজের কাজ শেষ। সাববেজের ওপর থাকবে পাথর, পাথরের ওপর সিøপার আর পাত বসানো হয়েছে। মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরিচালনা হবে ডিপো এলাকা থেকে। সেখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে। ডিপোর ছাউনির জন্য ইস্পাতের কাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। এখানে রেলের টেস্ট ট্র্যাক বেড, কোচ আনলোডিং এরিয়া, জ্যাক পিট, বগি টার্ন টেবল, বগি ওয়াশ প্লান্টসহ অন্যান্য অংশের ভিত্তি নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যুতে চলবে ট্রেন রাজধানীতে প্রথম মেট্রো চলবে বিদ্যুতে। এক ঘণ্টায় দু’পাশ থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা থাকবে নতুন এই যোগাযোগ খাতের প্রকল্পে। তাই বিদ্যুত উপকেন্দ্র ও বিদ্যুত সঞ্চালন ব্যবস্থা, জলাধার, প্রশাসনিক ভবন, মসজিদ, মেডিক্যাল সেন্টারসহ অন্যান্য স্থাপনাও নির্মাণ হচ্ছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের হিসেবে এ অংশের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। ডিএমটিসিএলের হিসেবে মেট্রোরেল-৬ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ দশমিক ৩৬ ভাগ। এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অগ্রগতি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর অংশের অগ্রগতি ২৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। প্রকল্পের ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক ও ডিপো যন্ত্রপাতি সংগ্রহ কাজের অগ্রগতি প্রায় ২০ ভাগ। আগারগাঁও থেকে কাওরানবাজার পর্যন্ত তিন দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও তিনটি স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে প্যাকেজ পাঁচের আওতায়। এ অংশের অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৪৩ ভাগ। এ অংশের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট। কাওরানবাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চার দশমিক ৯২২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও চারটি স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে প্যাকেজ ছয়ের আওতায়। এই কাজের অগ্রগতি ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মেট্রোরেলের বিদ্যুত ও যান্ত্রিক ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ হচ্ছে প্যাকেজ সাতের আওতায়। এই অংশের অগ্রগতি ২১ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর প্যাকেজ আটের আওতায় রেল কোচ ও ডিপো যন্ত্রপাতি সংগ্রহের অগ্রগতি ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২০১৬ সালের ২৬ জুন এ প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে ২০টার মতো স্টাডি করা হয়েছে। এর পর এর বেসিক ডিজাইন করা হয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে এটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে। মূল কাজ শুরুর আড়াই বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পর যে অগ্রগতি হয়েছে তা দেখলেই বোঝা যাবে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে। প্রতি চার মিনিট পর এক হাজার ৮০০ যাত্রী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্প চালু হলে প্রতি ৪ মিনিট পর পর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল। ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী। প্রায় ২১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের কম। ইতোমধ্যে প্রথম মেট্রোট্রেনের সামনের ও পেছনের নক্সা এবং বাইরের রং চূড়ান্ত হয়েছে। এতে লাল-সবুজের প্রাধান্য রয়েছে। থাকছে ১৭ স্টেশন প্রকল্পের মধ্যে ১৭টি স্টেশন হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর সেকশন-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম, বাংলাদেশ ব্যাংক ও কমলাপুর। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশন নির্মিত হবে। প্রতি তিন মিনিট পর পর থামবে ট্রেন। মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ত) আবদুল বাকি মিয়া বলেন, দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্টেশন নির্মাণের স্থানে আগে দুইপাশে যাতায়াত ব্যবস্থা করব। তার পরেই সড়কের মিডলে কাজ শুরু হবে। মেট্রোরেল পরিচালনায় ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩ দশমিক ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুত। এজন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাওঁ ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুত উপকেন্দ্র থাকবে। ঘণ্টায় ১শ’ কিলোমিটার বেগে ছুটবে এই ট্রেন। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার মধ্যে সাহায্য হিসেবে জাইকা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) প্রকল্পের অধীনে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২০৩০ সাল নাগাদ রাজধানীর যানজটের চিরচেনা দৃশ্যপট বদলে যাবে। সম্প্রতি দিয়াবাড়িতে এমআরটি-৬ লাইনের বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন ও রেল ট্র্যাক বসানোর কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, এমআরটি লাইন ১ ও এমআরটি লাইন ৫-এর ডিপিপি অনুমোদন হয়ে গেছে, ফলে কাজ শুরু করতে আর কোন বাধা নেই। মেট্রোরেলের এই দুই লাইনের মধ্যে একটিতে ১৬ কিলোমিটার, অন্যটিতে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশ পাতাল রেল হবে বলেও জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। সব মিলিয়ে ২০৩০ সালে ছয়টি মেট্রোরেলের পৌনে ২০০ কিলোমিটারের সব কাজ যখন শেষ হবে, তখন ঢাকায় যানজটমুক্ত অনিন্দ্য সুন্দর এক দৃশ্যপট আমরা দেখতে পাব। ঢাকা শহরে আজকের যান চলাচলের চিত্রই পাল্টে যাবে।
×