ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘আধুনিক বাংলা কবিতা ও জীবনানন্দ দাশ’ আলোচনা

প্রকাশিত: ১০:১১, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 ‘আধুনিক বাংলা  কবিতা ও  জীবনানন্দ দাশ’ আলোচনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আধুনিক বাংলা কবিতা ও জীবনানন্দ দাশ বিষয়ক আলোচনা সভা হয় জাতীয় জাদুঘরে সোমবার সকালে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জীবনানন্দ গবেষক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আশিস কুমার সরকার এবং কালি ও কলম সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক আবুল হাসনাত (কবি মাহমুদ আল জামান)। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ শওকত আলী। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম। ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বহুমাত্রিক আলোচনার মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কবি জীবনানন্দ দাশের জনপ্রিয়তা যেন তার মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি যে আমারেই তার তিনি লোকান্তরিত হওয়ার পরই যেন অনবগুণ্ঠিত হতে শুরু করল। জীবৎকালে যিনি ছিলেন প্রায় অজ্ঞাত, আজ তিনি সর্বহৃদয়সম্বাদী। বস্তুত তিনি আজ কেবল শুধু জনপ্রিয় নন, বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষে পরিণত হয়েছেন। বাংলা কবিতা বিংশ শতকে প্রবেশ করেছিল রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে, আজ প্রায় অবিসংবাদিত যে একুশ শতকের প্রবেশ মুখে জীবনানন্দই আমাদের পুরোধা। বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সবচেয়ে পরিপূর্ণ, সবচেয়ে সার্থক সংজ্ঞার্থটি তার কবিতার মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, আজকের এই আলোচনা সভাটা অনেক ভারী আলোচনা সভা। প্রবন্ধকার মনোমুগ্ধকর একটা প্রবন্ধ রচনা করেছেন। জীবনানন্দ একালের এক অবাধ বিশ্বাস। তিনি অত্যন্ত নান্দনিকতার সঙ্গে কবিতায়, উপন্যাসে, কাব্যের মাধ্যমে বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন। তার সৃষ্টির গভীরতা ও শিল্পিত কারুকার্য আমাকে বিস্মিত করেছে। বাংলাদেশের রূপসী বাংলার কবি তিনি। তিনি বাংলার বাঙালীদের কালজয়ী স্র্রষ্টা। কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আধুনিকতা বৈশিষ্ট্যটি ছিল জীবনানন্দের একান্তই নিজের। তার প্রতিটা চড়নের সুগঠিত মাত্রাবিন্যাস কবিতার ভেতরে নিয়ে যায়। তার কবিতার প্রতিটি বর্ণের ভেতরে, প্রতিটি শব্দের ভেতরে খেলা করে তার আধুনিকতার পরশ। জ্যোৎস্না নিয়ে প্রথম মেখেছিলেন জীবনানন্দ। তার জ্যোৎস্না মানে চাঁদের জ্যোৎস্না না, নক্ষত্রের জ্যোৎস্না।
×