স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব, অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এখানে রয়েছে প্রধান সমুদ্রবন্দর ইপিজেডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ফলে বিমানবন্দরের চাহিদাও বাড়ছে। আর চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানতসহ সকল বিমানবন্দর সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার।
সোমবার বিকেলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণশুনানি অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান এবং এভিয়েশনের কর্মকর্তারা। যাত্রীরা বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিমত তুলে ধরেন। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধির ফলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের চাহিদা ধাপে ধাপে বাড়ছে। সে জন্য সরকারও এর সম্প্রসারণে কাজ করছে। এ বছর আরও দুটি বোর্ডিং ব্রিজ উদ্বোধন করা হবে। বিদেশী বিমান সংস্থাগুলো চট্টগ্রামের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে এমিরেটস, ইত্তেহাদ ও কাতার এয়ারওয়েজ যোগাযোগ করেছে।
করোনাভাইরাস শনাক্তে ব্যবস্থা বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের নিজস্ব ডাক্তার নেই। নতুন অর্গানোগ্রামে চিকিৎসক পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিচ্ছি। থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি সচল করতে বা নতুন মেশিন বসানোর জন্য এভিয়েশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হবে।
বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান শাহ আমানতের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, ২০১৯ সালে এ বিমানবন্দর দিয়ে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী ওঠানামা করেছে। গড়ে দৈনিক ৪০টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করেছে। ফ্লাইট সংখ্যা বেড়েছে। বিমানবন্দরে সুপেয় পানি, লাউঞ্জ ও তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যাত্রী সেবার মান বাড়াতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গণশুনানিতে উপস্থিত যাত্রীরা কিছু ক্ষেত্রে তাদের অভিযোগের পাশাপাশি পরামর্শও তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: