ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণাপত্র প্রকাশে সহযোগিতা

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণাপত্র প্রকাশে সহযোগিতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ও জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশে সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। সোমবার রাজধানীর বেসরকারী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ১৯তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে এ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শুধু আর্থিক সমস্যার কারণে আমাদের শিক্ষকবৃন্দ আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করতে পারে না। সরকার এ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে। এজন্য একটি তহবিল গঠন করার চিন্তা করছে সরকার। রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির নিজস্ব স্থায়ী ক্যম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি শিক্ষার্থীদের ডিগ্রী প্রদান করেন। সমাবর্তনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের দুই হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেয়া হয়। এছাড়া অনন্য মেধাবী তিন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় স্বর্ণপদক। এবারের এ সমাবর্তন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কীতে তার স্মৃতির উদ্দেশে নিবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বর্তমানে কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। কিন্তু সকল শিক্ষকের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। সরকার এ লক্ষ্যে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কারণ মানসম্মত শিক্ষক ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা অসম্ভব। মন্ত্রী বলেন, আমরা এমন একটি ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি করতে চাই যারা জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি ধারণ করে পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেকে সৃজনশীল, উৎপাদনমুখী, সুখী ও বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। সমাবর্তনে অন্য বক্তারাও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশের কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণে তরুণদের উদ্ভাবনী দক্ষতার বিকাশ ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন, শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারী, গ্র্যাজুয়েট ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন। শিক্ষা জীবনের শেষে যথাসময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
×