ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী বছরের জনশুমারি হবে নিখুঁত

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আগামী বছরের  জনশুমারি হবে নিখুঁত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী বছর যে জনশুমারি হবে তা নিখুঁত হতে হবে বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, নিখুঁত ও গুণগত মান ঠিক করেই জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পরিসংখ্যান বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাব। জনশুমারি ও গৃহগণনা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকবে না, চমৎকার ফল আসবে মনে করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ প্রকল্প ঢাকা বিভাগে সফল করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মোঃ জাহিদুল হক সরদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নিজের শরীর ঠিক রাখতে আমরা যেমন মাঝে মাঝে স্বাস্থ্য চেকআপ করাতে যাই তেমনি দেশের অবস্থা চেক করতে প্রতি ১০ বছর পর পর এই জনশুমারি পরিচালনা করা হয়। তাই মাথা গুনতির এ আয়োজন মানসম্মত হতে হবে। জনশুমারি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই নিখুঁত শুমারি করতে হবে। জনশুমারি অবশ্যই নিখুঁত হতে হবে। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে নিখুঁত শুমারির কোন বিকল্প নেই। আমার বিশ্বাস, এবার চমৎকার একটি শুমারি হবে। চমৎকার একটা ফলও পাব। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে জনশুমারি হবে, এটা আমাদের জন্য আনন্দের। অন্যদিকে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। মুজিববর্ষে নিখুঁত একটি শুমারি আমাদের উপহার দিতে হবে। আমাদের কাজটি ভাল হতে হবে। আমরা এটা নিয়ে অনেক উৎফুল্ল হব। মাঠকর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সবার নিজের অবস্থান থেকেই কাজ করতে হবে। যারা মাঠকর্মী রয়েছেন তাদের দ্রুত সময়ে টাকা পরিশোধ করতে হবে। এবার শুনলাম চারগুণ বেশি টাকা দেয়া হবে। এতে তরুণ মাঠকর্মীদের জন্য ভাল হবে। প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পের কেনাকাটাও সঠিকভাবে করতে হবে। কোন বিষয়ে যেন প্রশ্নের সম্মুখীন যেন না হই, বলেন মন্ত্রী। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, মান বাড়িয়ে বিবিএসকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া প্রকল্পের কেনাকাটায় জেলা প্রশাসকদের কোন ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকলে তা রাখতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, এখন আর বিবিএসের তথ্য নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ অন্য সংস্থাগুলো বিবিএসের তথ্যের ওপর নির্ভর করে প্রতিবেদন তৈরি করছে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী স্মরণীয় করে রাখতে বিবিএস ২০২১ সালের ১৭ মার্চ রাত ১২টা থেকে শুমারি মুহূর্ত ধরে পরবর্তী সাতদিন জনশুমারি ও গৃহগণনার জন্য মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার জনশুমারি হবে চমৎকার। বিদেশে কত বাংলাদেশী রয়েছেন, দেশে কত বিদেশী আছেন, সবই গণনা করা হবে। আমরা শুমারির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। আশা করি, সবার সহযোগিতায় একটি চমৎকার শুমারি উপহার দিতে পারব। মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রকল্প পরিচালক মোঃ জাহিদুল হক সরদার বলেন, খানা তালিকা প্রস্তুতের জন্য প্রথমবারের মতো এ শুমারিতে মূল শুমারির পূর্বে লিস্টিং অপারেশন পরিচালনা করা হবে এবং প্রতিটি খানার (পরিবার) জন্য একটি ইউনিক হাউজহোল্ড আইডি দেয়া হবে। শুমারির কভারেজ বাড়ানোর জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী অর্থাৎ ১৬ মার্চ থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে ৬৪ জেলায় ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে ক্ষণগণনা শুরু করা হবে। দেশব্যাপী শুমারির মূল গণনা কার্যক্রম ২০২১ সালের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সাতদিন পরিচালিত হবে। ষষ্ঠ জনশুমারিতে কেউ বাদ যাবে না।
×