ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রফতানি আদেশ কমেছে ৬ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 রফতানি আদেশ কমেছে  ৬ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত বছরের তুলনায় এ বছর রফতানি আদেশ ৬ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ধারাবাহিকভাবে রফতনি প্রবৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে রফতানি আদেশ কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় তারা। দেশের রফতানি বাড়াতে পোশাক ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন নগদ সহায়তা। এ অবস্থা কাটাতে বন্দরের আধুনিকায়নসহ নানা বিষয়ে সংস্কারের তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। চলতি অর্থবছরের সাত মাস শেষে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজার ২৯২ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ২১ শতাংশ কম। এরমধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় রফতনি খাত পোশাকে কমেছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ১১ শতাংশ। রফতানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে রফতানি আদেশও। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ রফতানি আদেশ কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুই দিক থেকে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একদিকে রফতানি আদেশ যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করতে পারার কারণও রয়েছে। বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে না পারলে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। রফতানি আদেশ কমে যাওয়া দেশের অর্থনীতির জন্য দুশ্চিন্তার বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় বন্দরের আধুনিকায়নসহ নানা বিষয়ে সংস্কারে জোর দিচ্ছেন তারা। পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, অন্যের ওপর নির্ভরশীলতার কারণেই আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়ও রফতানি আদেশ কমেছে।
×