ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে চুরি ডাকাতি ছিনতাই বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

   রূপগঞ্জে চুরি ডাকাতি  ছিনতাই বেড়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনদিন অবনতি হচ্ছে। এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এখন নিত্যদিনের ঘটনা। চুরি, ডাকাতিরোধে পুলিশি তৎপরতা না থাকায় বেড়েছে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা। জানা গেছে, প্রতিরাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি। থানা সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার তারাবো পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকার হায়দার আলী নামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ১৮ জানুয়ারি রাতে তারাবো ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আয়াত আলীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদলের সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩ লাখ টাকা ও ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হলেও ডাকাতদলে সদস্যরা রয়ে যায় অধরা। একইভাবে ৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে উপজেলার দক্ষিণ রূপসীর দেলোয়ার নামে ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পরিবারের লোকজন মারধর করে স্বর্ণালঙ্কারসহ ১ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া এলাকায় ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৩০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়। ২০১৯ সালের ২ মে উপজেলার হাটাব মধ্যপাড়া এলাকায় শামীম নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী বাড়িতে হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার এবং একটি প্রাইভেটকার লুটে নিয়ে যায়। এদিকে গত ২১ অক্টোবর উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়ারটেক এলাকায় ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাত দল পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ টাকা লুটে নেয়। গত বছর ১ এপ্রিল রূপগঞ্জ সদরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নয়ন চন্দ্র দাস নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় ৯০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। ১৫ জানুয়ারি ঢাকা বাইপাস সড়কের পূর্বাচলে প্রাইভেটকারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্য ৪০ হাজার টাকাসহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। গত ৫ জানুয়ারি রাতে উপজেলার ইছাপুরা বাজারে ৪টি জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রোমান মোল্লা থানার নাম্বারে ফোন দিয়ে সাড়া না পেয়ে ৯৯৯ এ কল দেন। ততক্ষণে ৪টি দোকানের ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ অর্থ লুটে নেয়। একইভাবে উপজেলার বরপা এলাকার মাসুম খানের বাড়িতে, ফকির চাঁন, এসএম শাহাদাত, আসলাম মোল্লাসহ বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও বেড়েছে সাধারণ কৃষক ও খামারির গোয়াল থেকে গরু চুরির ঘটনা।
×