ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অতনু রায়

ক্যারিয়ারে লিডারশিপ

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  ক্যারিয়ারে লিডারশিপ

কর্পোরেট কালচারে লিডারশিপ শব্দটি এখন খুবই জনপ্রিয়। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মানব সম্পদ বিভাগে যেমন লিডারশিপ চর্চা হয় তেমনি বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি জগতে স্টার্টআপে এ শব্দটি বেশ জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত। আবার মানব সম্পদ বিভাগেও এই লিডারশিপ শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে নিজেকে লিডার হিসেবে কিংবা লিডারশিপ দক্ষতা বাড়াতে না পারলে একজন কর্মী হিসেবে বা উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা প্রায় অসম্ভব। এই লিডারশিপ যোগ্যতার জন্য যেমন দরকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমনি প্রয়োজন কর্মক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা। সময়মতো খুব সহজে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারা লিডারশিপের একটি বড় গুণ। সে জন্য চাই সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার, মানসিক দক্ষতা, কর্মক্ষেত্রের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা। দেখতে ভাল লাগে আজ তরুণ প্রজন্ম এ বিষয়ে বেশ অগ্রসরমান। এমনই এক তরুণ মেধাবি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সাকের। তিনি কর্মরত আছেন উপ-ব্যবস্থাপক ও প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে ডিমান্ড ফ্যাশন হাউজে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এমবিএ করে তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ বিভাগে কাজ করেছেন। মানব সম্পদ বিভাগের পাশাপাশি তিনি এ প্রতিষ্ঠানে সেলস এন্ড মার্কেটিং বিভাগেরও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি। আমি বিশ্বাস করি প্রতিষ্ঠানের কাজকে নিজের কাজ বলে আন্তরিকতার সঙ্গে করলেই সফলতা আসবে। আমার দ্বারা প্রতিষ্ঠান লাভবান হওয়া মানেই আমার সফলতা। আপনারা জানেন, আমাদের দেশে প্রায় সব সেক্টরে কিছু অনুকরণীয় মানুষ রয়েছেন, যারা পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে স্ব-স্ব জায়গায় এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, বড় কোম্পানিগুলো তাদের নেয়ার জন্য নানান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। তাদের লিডারশিপ গুণ এতটাই সমৃদ্ধ যে তরুণ প্রজন্ম তাদের আইডল হিসেবে নেয়।’ সফলতা কখনও একদিনে আসে না। পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও মেধা কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে এগুতে হয়। শুরুতেই ফোকাস করতে হয়। ছাত্রজীবনেই ঠিক করে ফেলা প্রয়োজন যে কোন সেক্টরটা আমার জন্য ফলপ্রসূ। এ বিষয়ে সাকের বলেন, ‘গোল ঠিক করাটাই জীবনের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কেউ যদি সঠিক সময়ে লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক করে নিষ্ঠার সঙ্গে অগ্রসর হয় তার সফলতা অবিশ্যম্ভাবী। খেয়াল রাখতে হবে আমি যা পছন্দ করি বা যে বিষয়টিতে আমি ভাল লক্ষ্য স্থির করতে হবে সে সেক্টরে। তবেই হয়ে গেল। বাকিটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ আমাদের দেশে জনসংখ্যার তুলনায় চাকরির বাজার ছোট। তাই পছন্দমতো কর্মসংস্থান সবক্ষেত্রে হয়ে ওঠে না। যদিও বর্তমানে এ ধারার কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থান বাড়ছে। ভকেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিমাণ বাড়ছে। ছাত্র জীবনেই নিজ দক্ষতা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাচেছ। এসবদিক বিবেচনা করে বলা যায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আজ সরকার যেমন উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচেছ তেমনি তরুণ প্রজন্ম আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মানব সম্পদে পরিণত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হবে আমাদেরই তরুণ সমাজ।
×